সিআইআইয়ের স্মার্ট সিটি প্রকল্পে ঠাঁই নেই রাজ্যের

সারা দেশে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে সবচেয়ে বেশি কর্মী জোগান দেয় এ রাজ্য। আর মূলত তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাকে হাতিয়ার করে স্মার্ট সিটি তৈরির প্রকল্পে জাতীয় বণিকসভা সিআইআই-এর প্রাথমিক পরিকল্পনায় ঠাঁই পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। মডেল স্মার্ট সিটি তৈরি করতে সিআইআই চিহ্নিত করেছে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ০২:৩৪
Share:

সুমিত মজুমদার।— নিজস্ব চিত্র।

সারা দেশে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে সবচেয়ে বেশি কর্মী জোগান দেয় এ রাজ্য। আর মূলত তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাকে হাতিয়ার করে স্মার্ট সিটি তৈরির প্রকল্পে জাতীয় বণিকসভা সিআইআই-এর প্রাথমিক পরিকল্পনায় ঠাঁই পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। মডেল স্মার্ট সিটি তৈরি করতে সিআইআই চিহ্নিত করেছে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব ও অন্ধ্রপ্রদেশকে।

Advertisement

বুধবার কলকাতায় সিআইআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ট্রাক্টর্স ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রধান সুমিত মজুমদার। তিনি জানান, বণিকসভার মুখ্য কর্মসূচির তালিকায় রয়েছে স্মার্ট সিটি, ডিজিটাল ভারত ও স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প। তবে স্মার্ট সিটি প্রকল্পে এ রাজ্য ব্রাত্য নয় বলে জানান তিনি। অবশ্য প্রাথমিক প্রকল্পে জায়গা করে নিয়েছে অন্য তিন রাজ্য। তিনি বলেন, ‘‘কোথায় স্মার্ট সিটি হবে, তা চিহ্নিত করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য। জমি দেওয়ার দায়িত্বও তাদের। বণিকসভা শুধু সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত তিন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় জমি কোথাও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।

এ দিন সিআইআই জানায়, স্মার্ট সিটি তৈরির জন্য বিদেশি লগ্নি টানতে জার্মান বহুজাতিক সিমেন্স ও জাপানি বহুজাতিক হিতাচির সঙ্গে ইতিমধ্যেই গাঁটছড়া বেঁধেছে বণিকসভা। এই দু’টি সংস্থার সঙ্গে মউ সই হয়েছে বলে জানান সিআইআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, প্রকল্পে অর্থ জোগানের ব্যবস্থাও করবে সংস্থা দু’টি। মার্কিন বহুজাতিক সিস্কো-র সঙ্গেও কথা শুরু হয়েছে।

Advertisement

এ রাজ্যে জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি সুমিতবাবু। বর্তমান রাজ্য সরকারের শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ ও শহরাঞ্চলে জমির ঊর্ধ্বসীমা আইন তুলে দেওয়ার বিরোধী অবস্থান প্রসঙ্গও তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘জমি রাজ্যের বিষয়। সে বিষয়ে রাজ্যের মতামত থাকতেই পারে।

তবে জমি সমস্যা ছাড়া ব্যবসা সহজে করার উপরেও জোর দেন তিনি। লাল ফিতের ফাঁস, বিভিন্ন সরকারি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্যের অভাবের মতো বিষয়ে নজর দিতে হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। সিআইআই ও সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলির সহজে ব্যবসা করার বিষয়ে চুক্তি হবে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেও কথা চলছে।’’

সুমিতবাবু জানান, শিল্পমহলের প্রতি রাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। ফলে কিছু বিনিয়োগও এসেছে। তবে সেই বিনিয়োগের অঙ্ক প্রত্যাশা অনুযায়ী নয় বলেও তিনি আক্ষেপ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন