শুধু পুঁজিই নয়, উদ্যোগপতি হতে হলে উদ্ভাবনী ভাবনাটাও জরুরি। বিশেষ করে হাল আমলে টিকে থাকতে হলে পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই নতুন ভাবনার সূত্র বার করার পক্ষেই মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই পথে হেঁটেই বাড়ছে ‘স্টার্ট আপ’ বা সদ্যোজাত সংস্থার সংখ্যাও। নতুন ভাবনাকে জারিত করতে এ বার ‘ইনোভেশন ক্লাব’ তৈরি করছে বণিকসভা সিআইআই।
সিআইআই আয়োজিত ‘ইনোভেশন ২০১৬’ শীর্ষক সভায় সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বিভাগের টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান অলোক মুখোপাধ্যায় জানান, লগ্নিকারী ও স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে সাহায্য করতে আর্থিক সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পমহলের মধ্যে সেতু গড়বে এই ক্লাব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে আইআইটি খড়্গপুর, শিবপুর আইআইইএসটি-র মতো প্রতিষ্ঠান। অলোকবাবুর বক্তব্য, বেঁচে থাকতে হলে উদ্ভাবনী ভাবনা থাকতেই হবে। তিনি বলেন, ‘‘ব্যর্থতা আসতেই পারে। সেটাও গ্রহণযোগ্য। কিন্তু চেষ্টা না-করাটা নয়।’’
রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি সচিব তাল্লিন কুমার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বলেন, রাজ্য যে-সব ক্ষেত্রে শক্তিশালী, সেগুলিকে চিহ্নিত করে তার উপর জোর দিতে হবে। এ রকম ন’টি ক্ষেত্রকে তিনি চিহ্নিতও করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে: তথ্য বিশ্লেষণ, জ্ঞান ভিত্তিক শিল্প, জৈব প্রযুক্তি, ইন্টারনেট অব থিংস, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে দক্ষতা, সাইবার নিরাপত্তা ইত্যাদি। কুমারের মতে, শুধু গবেষণার জন্যই গবেষণা করলে বাস্তবে তার কোনও মূল্য থাকে না। গবেষণাকে এখন শিল্পমুখী করতে হবে। প্রযুক্তিকে গবেষণাগার থেকে পৌঁছে দিতে হবে সরাসরি কারখানায়।
এ প্রসঙ্গে সিআইআইয়ের কাছ থেকে নির্দিষ্ট প্রস্তাব চেয়েছেন আইআইইএসটি-র ডিরেক্টর অজয় কুমার রায়। কী ভাবে শিক্ষা ও শিল্প হাত মেলাতে পারে, সে ব্যাপারেই সিআইআইয়ের পরামর্শ জরুরি বলে মনে করছেন তিনি। উদ্ভাবনের মানসিকতা ও স্টার্ট-আপ সংস্থা যাতে এই অঞ্চলের আর্থিক উন্নয়নে চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে, তার জন্য উপযুক্ত পথনির্দেশ জরুরি বলে জানান অজয়বাবু।