বাণিজ্যিক খননের জন্য খনি বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েও সাময়িক ভাবে তা ফের পিছিয়ে দিল কেন্দ্র। জুন মাসের মধ্যেই কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বাণিজ্যিক খননের জন্য আটটি কয়লা খনি বণ্টনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা মতো এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে আগ্রহী সংস্থাগুলির কাছে থেকে আবেদনপত্রও চাওয়া হয়ছিল। কিন্তু কয়লা মন্ত্রক সূত্রে খবর, বিশেষ কারণে সেই সময়সীমা কিছু দিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখন দেশের কয়লা শিল্পের উপর কার্যত কোল ইন্ডিয়ার একচেটিয়া অধিকার রয়েছে। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেয়, কয়েকটি খনি বাণিজ্যিক ভাবে খননের জন্য কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে দিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে বেসরকারি সংস্থার জন্যও দেশের কয়লা শিল্পের দরজা খুলে দেওয়া হবে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল দেশের শিল্প মহল। কিন্তু মাস খানেক আগেই কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, সরকারের অধীনস্থ সংস্থাগুলিকে আপাতত খনি দেওয়া হলেও, বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার বিষয়ে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। তারপর এ বার সরকারি সংস্থাগুলিকেও খনির বরাত দেওয়ার বিষয়টি কেন পিছিয়ে গেল, সে বিষয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আটটি খনি বাণিজ্যিক ভাবে খননের জন্য বিলি করা হবে। মূলত যে রাজ্যগুলিতে খনিগুলি রয়েছে, তারাই আবেদন করতে পারবে। ওই খনিগুলি পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগঢ়, ওড়িশা, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে (দু’টি) রয়েছে। ঠিক হয়েছিল, খনিগুলি থেকে সংস্থাগুলি কয়লা তুলে বিভিন্ন ছোট-মাঝারি সংস্থাকে বিক্রি করবে। কয়লার দামও ঠিক করবে সরকারি সংস্থাগুলি। কয়লা মন্ত্রক বা কোল ইন্ডিয়া এ বিষয়ে মাথা ঘামাবে না।
কেন কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? কয়লা মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, বহু ছোট-ছোট শিল্প রয়েছে, যাদের কয়লা লাগে। কিন্তু কোল ইন্ডিয়ার কাছে কয়লা কেনার সামর্থ নেই তাদের। এই সব শিল্পের কথা ভেবেই সরকারি সংস্থাগুলির হাতে কিছু খনি বাণিজ্যিক ভাবে খননের জন্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ভাবা হয়েছিল, এতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজস্ব বাড়বে। শিল্প সংস্থাগুলিরও কয়লা পেতে সমস্যা হবে না।