এইচএমটি ভবন।
কব্জিতে প্রথম ঘড়ি বাধা মানেই ছিল এইচএমটি। তা জন্মদিন হোক বা মাধ্যমিক পাশ। যে সংস্থার প্রথম দফায় তৈরি ঘড়ির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।
এক প্রজন্মের নস্ট্যালজিয়া সেই এইচএমটি লিমিটেডের আর্থিক হাল এখন বেশ খারাপ। বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ভাতা, বেতন বাবদ বকেয়া বিপুল। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ‘স্তম্ভিত’ লোকসভার কমিটি অন পিটিশন্স। সংসদে পেশ করা রিপোর্টে ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে সেই পাওনা মেটানোর আর্জি করেছে তারা। জানিয়েছে, বকেয়া মিটিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করা হোক এইচএমটিকে।
১৯৫৩ সালে বেঙ্গালুরুতে গড়ে ওঠে এইচএমটি। ধীরে ধীরে তৈরি হয় এইচএমটি ওয়াচেস, এইচএমটি চিনার ওয়াচেস, এইচএমটি বেয়ারিংস, এইচএমটি ট্র্যাক্টরের মতো সংস্থা। কিন্তু প্রতিযোগী বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে লড়াইয়ে রুগ্ণ হয়েছে সংস্থাটি। ট্র্যাক্টর শাখাটিকে সাহায্য করার জন্য প্যাকেজ দেওয়া হলেও সম্প্রতি বাকি তিনটি ইউনিটকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু এইচএমটিকে বাঁচানোর পক্ষেই সওয়াল করেছে সংসদের কমিটি।