নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
কোনও ভাবেই বৈঠকের খবর যেন বাইরে না যায়। তার জন্য প্রতিনিধিদের থেকে নিয়ে নেওয়া হল আলোচ্য সূচি! আলোচ্য বিষয়ের রেকর্ডও!
দেশে কত জন বেকার, আর কত জনই বা রোজগেরে, তা নিয়ে জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংস্থার (এনএসএসও) রিপোর্টে কোনও গরমিল রয়েছে কি না, তা খুঁজতে আজ কলকাতায় ‘লেবার ফোর্স স্ট্যাটিসটিক্স’-এর স্থায়ী কমিটির বৈঠক বসেছিল। পরিসংখ্যান মন্ত্রক নির্দেশ দেয়, আলোচ্য বিষয়ের রেকর্ড কোনও ভাবেই বাইরে যাওয়া চলবে না। সরকার চূড়ান্ত করার পরেই প্রয়োজনে তা প্রকাশ করা হবে। তাই এমন বজ্র আঁটুনি। অভিযোগ, দেশে বেকারত্বের হার ধামাচাপা দিতেই এই তৎপরতা কেন্দ্রের।
ফাঁস হওয়া এনএসএসওর সমীক্ষা দেখিয়েছিল, নোটবন্দির পরে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার ৬% ছাপিয়েছিল। যা গত ৪৫ বছরের সর্বোচ্চ। সরকার ধামাচাপা দিয়ে রাখলেও, তা সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। চাপের মুখে সরকার যুক্তি দেয়, ওই রিপোর্ট চূড়ান্ত নয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুক্তি দেন, দেশের অর্থনীতির বহর যখন বাড়ছে, তখন কর্মসংস্থানও নিশ্চয়ই তৈরি হয়েছে। সমস্যা হল, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কিন্তু বেসরকারি সংস্থা সিএমআইই (সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি) সম্প্রতি রিপোর্ট দিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে বেকারত্বের হার আরও বেড়ে পৌঁছেছে ৭.২ শতাংশে। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় এনএসএসও যে নমুনার ভিত্তিতে সমীক্ষা চালিয়েছে তাতে সমস্যা রয়েছে কি না, সে ব্যাপারেই আলোচনা হয়েছে আজকের বৈঠকে।