দেশজোড়া লকডাউন ঘোষণার আগেই নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের টাকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্র। আজ সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার লিখেছেন, অসংগঠিত নির্মাণ শিল্পের কর্মীদের সংসার চলে দৈনিক মজুরির উপরে ভর করে। এই সঙ্কটে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রকল্প তৈরি করুক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। কী ভাবে, কোন প্রকল্পের আওতায় কত টাকা করে দেওয়া হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক তারাই।
মন্ত্রকের বক্তব্য, বিওসিডব্লিউ সেস আইন অনুযায়ী জমা টাকায় তহবিল তৈরি করেছে বিভিন্ন রাজ্যের কর্মী উন্নয়ন পর্ষদ। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত
অঞ্চল মিলিয়ে যার অঙ্ক প্রায় ৫২,০০০ কোটি টাকা। একই সঙ্গে, ওই সমস্ত পর্ষদের কাছে নথিভুক্ত আছে নির্মাণ শিল্পের সাড়ে ৩ কোটি কর্মীর নামও। এখন ‘বিল্ডিং অ্যান্ড আদার কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার্স’ আইনের ৬০ নম্বর ধারা অনুযায়ী মন্ত্রীর পরামর্শ, সেই টাকা সরাসরি কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর বন্দোবস্ত করুক রাজ্যগুলি। ওই আইনের ২২(১)(এইচ) ধারায় নিজেদের মতো করে প্রকল্প তৈরি করুক তারা।
অনেকে অবশ্য বলছেন, প্রধানমন্ত্রী দু’বার জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দিলেও, স্বাস্থ্য খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলা ছাড়া মানুষকে আর্থিক সুরাহা দেওয়ার কথা সে ভাবে এখনও বলেননি। বরং নিজেদের মতো করে সেই চেষ্টা করছে বিভিন্ন রাজ্য। এ ক্ষেত্রেও অসংগঠিত নির্মাণ শিল্পের কর্মীদের আর্থিক ভাবে পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব কেন্দ্র রাজ্যগুলির উপরেই চাপিয়ে দিল।