ঝুঁকির মুখে ৩০ লক্ষ কাজ, হুঁশিয়ারি খুচরো ব্যবসার

আপৎকালীন ঋণের সুবিধা, কিস্তি স্থগিত-সহ নানা প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাল খুচরো ব্যবসায়ীদের সংগঠন আরএআই-ও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২১ ০৫:০৫
Share:

ফাইল চিত্র।

সময় যত গড়াচ্ছে, বাড়ছে দ্বিতীয় দফার করোনা সংক্রমণ। সেই সঙ্গে স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন রাজ্যে স্বাভাবিক কাজে বসেছে নিষেধাজ্ঞা। তাই দেশ জুড়ে পূর্ণ লকডাউন না-হলেও আয়ে টান খুচরো ব্যবসার। দেশে-বিদেশে ব্যবসা ধাক্কা খাওয়ায় সঙ্কটে পর্যটন শিল্পও। দুই ক্ষেত্রেই নাভিশ্বাস উঠেছে নগদের অভাবে। বহু ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে (এনপিএ) পরিণত হওয়ার আশঙ্কা জোরালো হয়েছে। তাই দ্রুত ঋণের শর্ত শিথিল করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাইল পর্যটন শিল্পের সংগঠন আয়োটা। আপৎকালীন ঋণের সুবিধা, কিস্তি স্থগিত-সহ নানা প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানাল খুচরো ব্যবসায়ীদের সংগঠন আরএআই-ও। হুঁশিয়ারি, দাবি মানা না-হলে ৩০ লক্ষ কাজ ঝুঁকির মুখে পড়বে।

Advertisement

আরএআইয়ের দাবি, প্রায় ২.৫০ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি রয়েছে খুচরো ব্যবসায়। অথচ দেশের প্রায় ৮০% বিপণি নানা রকম বিধিনিষেধের মুখে থমকে। যা পরিস্থিতি, তাতে অবিলম্বে আর্থিক সুবিধা না-মিললে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা এনপিএ-তে পরিণত হতে পারে। তাই কেন্দ্রের কাছে অবিলম্বে জরুরি ঋণ চেয়েছে তারা। দাবি করেছে, এ জন্য এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি প্রকল্পে (ইসিএলজিএস) খুচরো ব্যবসাকে আনা হোক। দেওয়া হোক ঋণের আসল ও সুদ শোধের ক্ষেত্রে ছ’মাস পর্যন্ত কিস্তি স্থগিতের সুযোগ। ঋণে সুদ ৬ শতাংশে নামানো, কর্মীদের বেতন দিতে কার্যকরী মূলধনের ঋণ ৩০% করারও আর্জি জানিয়েছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। আরএআইয়ের সিইও কুমার রাজাগোপাল বলেন, ‘‘আয় প্রায়
শূন্য। আর্থিক বোঝা কমাতে সরকার এখনও ত্রাণ না-দিলে এই ব্যবসার এ বার বেঁচে থাকাই কঠিন হবে।’’

আয়োটার প্রেসিডেন্ট রাজীব মেহরার দাবি, তারা ইসিএলজিএস-এর আওতায় থাকলেও শর্তের গেরোয় ঋণ কার্যত মিলছেই না। অথচ প্রায় এক বছর ব্যবসা নেই। তাই শর্তের বাধা দূর করে ঋণকে সহজলভ্য করতে মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement