দিওয়ান হাউসিং ফিনান্স কর্পোরেশন ঠিক ২৬ দিনের মাথায় ফের বন্ড ছাড়ছে বাজারে। সংস্থার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার সন্তোষ শর্মার দাবি, আগের বার প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। এতে উৎসাহিত হয়েই তাঁরা এত অল্প সময়ের ব্যবধানে আরও একবার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দ্বিতায় দফায় নন কনর্ভাটিবল বন্ড (এনসিডি, যা শেয়ারে রূপান্তরিত করা যাবে না) ছেড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছে দিওয়ান হাউসিং ফিনান্স। আগের বার তারা তুলতে পেরেছিল ৪ হাজার কোটি।
সন্তোষবাবু বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক ঋণের বদলে বন্ড ছেড়ে তহবিল সংগ্রহ করা হলে আমাদের সুদ বাবদ খরচ প্রায় ১% কম পড়বে। বর্তমানে আমাদের সংগৃহীত মোট তহবিলের ৫৩ শতাংশই ব্যাঙ্ক ঋণ। এ বার তা ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাই।’’ যে কারণে বন্ড ছেড়ে পাওয়া টাকা প্রধানত ওই ঋণ শোধের জন্যই খরচ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সন্তোষবাবুর দাবি, দিওয়ান হাউসিং ফিনান্স কর্পোরেশনের এনসিডিকে রেটিং সংস্থা কেয়ার ‘ট্রিপ্ল এ’ তকমা দিয়েছে। প্রতিটি বন্ডের মূল্য ১ হাজার টাকা। ন্যূনতম লগ্নির অঙ্ক ৫ হাজার টাকা। তিন, পাঁচ এবং সাত বছরের মেয়াদে বিনিয়োগ করা যাবে। মেয়াদের ভিত্তিতে সুদ মিলবে বছরে ৯.০৫% থেকে ৯.২৫%। বন্ডগুলি এনএসই এবং বিএসইতে নথিভুক্ত হবে।
গত অর্থবর্ষে সংস্থার নিট লাভ ছিল ৭২৯ কোটি টাকা। সন্তোষবাবু বলেন, ‘‘দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরে কম এবং মাঝারি আয়ের মানুষকে গৃহঋণ দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’’