আর্থিক হাল খারাপ হওয়ার জল্পনা রুখতে বিবৃতি জারি করে সকলকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিল জেট এয়ারওয়েজ। জানিয়েছিল, ব্যাঙ্ক ঋণ, কর্মীদের বেতন, প্রভিডেন্ট ফান্ড-সহ সব আর্থিক দায়ই নিয়মিত মেটাচ্ছে তারা। কিন্তু তার পরও আর্থিক দিক থেকে নরেশ গয়ালের সংস্থাটি ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। রবিবার সংবাদ
সংস্থার খবর, এ জন্য জেটের হিসেবের খাতা পরীক্ষা (ফিনান্সিয়াল অডিট) করবে বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ।
জ্বালানি ও ডলারের দাম বাড়ায় খরচ সামলাতে নাজেহাল দেশের প্রায় সব বিমান সংস্থাই। এই অবস্থায় ইতিমধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ডেকানের অডিট করেছে ডিজিসিএ। এ বার নিয়ন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের সবচেয়ে পুরনো বেসরকারি বিমান সংস্থা জেট ঠিক কতটা আর্থিক সমস্যায় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে তারা। এই সমস্যার জেরে নিরাপত্তা নিয়ে সংস্থা কোনও সমঝোতা করছে কি না, দেখা হবে তা-ও। হিসেব পরীক্ষার কথা স্বীকার করে জেটের দাবি, তারা এ জন্য তৈরি। নিরাপত্তার সঙ্গে কখনও আপস করবে না সংস্থা।
জেট জানিয়েছে, তাদের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই অনুৎপাদক সম্পদ নয়। বরং জ্বালানির চড়া দর ও টাকার
দাম কমার ধাক্কা সামলাতে খরচ কমিয়ে আয় বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে পাইলটদের কম বেতন নিতে বলা, ফল ঘোষণা পিছোনোর যে খবর সামনে এসেছে, তাতে জেটের আর্থিক হাল নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিমান মন্ত্রক, সেবি, স্টক এক্সচেঞ্জ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ বার ডিজিসিএ-ও হিসেব পরীক্ষার কথা বলায় সেই জল্পনা বাড়বে বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।