কড়া ঋণে লাভের আশা সুরাতের

মোদী ও মেহুল চোক্সীর বিরুদ্ধে হওয়া তদন্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বে হিরের গয়না তৈরিতে প্রথম সারিতে থাকা এই শহরের ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সুরাত শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে (পিএনবি) নীরব মোদী কেলেঙ্কারির প্রভাব হিরে শিল্পের উপর পড়বে না বলেই মনে করছেন সুরাতের ব্যবসায়ীরা। এখানকার শিল্প মহলের মতে, এই কাণ্ডের জেরে যদি ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক আরও কড়াকড়ি করে, তা সত্ত্বেও হিরে পালিশ ও কাটার সঙ্গে যুক্ত ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের সমস্যা হবে না। বরং ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক আরও কড়া পদক্ষেপ করলে তাঁদের আখেরে লাভ হবে বলেই মত ব্যবসায়ীদের।

Advertisement

মোদী ও মেহুল চোক্সীর বিরুদ্ধে হওয়া তদন্তকেও স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বে হিরের গয়না তৈরিতে প্রথম সারিতে থাকা এই শহরের ব্যবসায়ীরা। সেই সুরাত, যেখানে বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকার পালিশ না করা হিরে আমদানি হয়। আর রফতানি হয় ১.৫৮ লক্ষ কোটির পালিশ করা হিরে।

জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের আঞ্চলিক চেয়ারম্যান দীনেশ নবদিয়া জানান, সুরাতের প্রায় ৬,০০০ হিরে পালিশ কেন্দ্রের মধ্যে ১০০টির মতো বড় সংস্থা ব্যাঙ্কঋণ নেয়। ঋণের প্রায় ৯০% যায় এই সব সংস্থার পকেটে। বাদবাকি ছোট-মাঝারি সংস্থা নির্ভর করে মহাজনদের উপরে। যাঁদের সুদের হার অনেক চড়া। তাঁর মতে, এই কাণ্ডের পরে ব্যাঙ্কের উচিত ছোট ও মাঝারি শিল্পকে উৎসাহ দেওয়া।

Advertisement

এই একই মতের শরিক অন্যান্য ব্যবসায়ীও। সুরাতের ডায়মন্ড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বাবুভাই গুজরাতির দাবি, ছোট শিল্প সহজে ঋণ খেলাপ করে না। ফলে ব্যাঙ্কেরও উচিত তাদের দিকে নজর দেওয়া। প্রতারণার জেরে যদি ঋণ দেওয়ার নিয়ম কড়া হয় এবং ব্যাঙ্কে নিয়মিত হিসেব পরীক্ষা হয়, তাতে লাভ হবে বলেও নবদিয়ার দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন