অষ্টম বেতন কমিশনে বাদ পড়বেন ৬৯ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কর্মচারী? —প্রতীকী ছবি।
অষ্টম বেতন কমিশনের আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন ৬৯ লক্ষ পেনশনভোগী? কেন্দ্রকে পাঠানো প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্মচারী সংগঠনের চিঠিকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি সরকার। অন্য দিকে কর্মচারীদের বেতন সংক্রান্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট কনসালটিভ মেশিনারি’ বা এনসি-জেসিএমের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠক সেরে ফেলেছেন সচিব শিবগোপাল মিশ্র।
চলতি বছরের ৩ নভেম্বর অষ্টম বেতন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। এর পরই শিবগোপালের থেকে আলোচনায় বসার চিঠি পান এনসি-জেসিএমের সদস্যেরা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্মচারী সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া ডিফেন্স এমপ্লোয়িজ় ফেডারেশন’ বা এআইডিইএফের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে পেনশনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধার দিকটিকে রাখা হয়নি, যা অন্যায্য এবং অসঙ্গতিপূর্ণ।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে এআইডিইএফ। সংশ্লিষ্ট কর্মচারী সংগঠনটির বক্তব্য, অষ্টম বেতন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও ৬৯ লক্ষ পেনশনভোগীর কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেই ‘ভুল’ সংশোধন করে নতুন নির্দেশিকা জারির দাবি তুলেছে তারা।
বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের জন্য চালু রয়েছে পারিবারিক পেনশন ব্যবস্থা। এআইডিইএফের অভিযোগ, ৩ নভেম্বরের বিজ্ঞপ্তিতে সেই বিষয়ের কোনও উল্লেখ নেই। তা ছাড়া নির্দেশিকায় আরও একটি ত্রুটির কথা বলেছে ওই সংগঠন। অতীতে সপ্তম বেতন কমিশন সুপারিশের তারিখ স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছিল সরকার। সেটি ছিল ১ জানুয়ারি, ২০১৬। কিন্তু, অষ্টম বেতন কমিশন সুপারিশের দিনক্ষণ জানায়নি কেন্দ্র।
গত ১৫ নভেম্বর এনসি-জেসিএমের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে অষ্টম বেতন কমিশনের প্রথম বৈঠকটি করেন কেন্দ্রীয় সচিব শিবগোপাল। এর আলোচ্য সূচি অবশ্য গোপন রেখেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আগামী দিনে এই ধরনের একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা থেকে পেনশনভোগীদের বাদ যাওয়ার আশঙ্কা কম। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে অষ্টম বেতন কমিশন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে মোদী সরকারের। তার আগে চূড়ান্ত সুপারিশের প্রক্রিয়া কবে হয়, সেটাই এখন দেখার।