ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে পণ্য রফতানির বিষয়ে ফের ভারতের দিকে অভিযোগের তির ছুড়ল আমেরিকা। মার্কিন প্রশাসনের দাবি, তাদের দেশে রফতানি করা ইস্পাতের মোটা পাইপে বেআইনি ভাবে ভর্তুকি দিচ্ছে ভারত। চিনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তাদের।
ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আমেরিকার প্রথম নয়। কয়েক মাসে আগে তাদের শিল্প মহল বাণিজ্য দফতরের কাছে অভিযোগ করেছিল, ১৬ ইঞ্চির বেশি ব্যাসের ইস্পাতের পাইপে বিভিন্ন দেশের ভর্তুকির ফলে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। অগস্টে দফতর জানায়, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে ভারত ও চিন-সহ ছ’টি দেশ ভর্তুকিযুক্ত ওই পাইপ উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে আমেরিকায় পাঠাচ্ছে। যা ডব্লিউটিও-র নিয়ম বিরোধী। সেই সময় এক দফা শুল্কও বসানো হয়েছিল ওই পণ্যটির উপর। এ বার আমেরিকা কী পদক্ষেপ করে, সে দিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।
অন্য দিকে, মার্কিন-চিন বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা আরও খানিকটা চড়াল ওয়াশিংটন। চিন থেকে আমদানি করা অ্যালুমিনিয়ামের চাদরে শাস্তি শুল্ক বসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের যথারীতি বক্তব্য, দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, আমেরিকার পরিবহণ, নির্মাণ, পরিকাঠামো ও বৈদ্যুতিক শিল্পে অ্যালুমিনিয়ামের এই চাদরের উঁচু চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্য দফতরের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে চিন থেকে প্রায় ৯০ কোটি ডলারের চাদর আমদানি হয়েছে আমেরিকায়। এক দশকে আমদানি বেড়েছে বিপুল।
তবে চিনা পণ্যে শুল্ক চাপালেও আমেরিকায় সেগুলির রফতানিতে বিশেষ ভাটা পড়েনি। চিনের বাণিজ্য দফতরের তথ্য বলছে, অক্টোবরে রফতানি প্রত্যাশার তুলনায় বেশি হয়েছে। আমেরিকায় তাদের রফতানি বেড়েছে প্রায় ১৩.২%। তবে এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার চিনের উদ্দেশ্যে তোপ দেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, একটা সময়ে মনে হচ্ছিল চিনের অর্থনীতি বোধ হয় আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাবে। কিন্তু তাঁর বিভিন্ন পদক্ষেপে চিন অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চিন দু’বছরের মধ্যে আমাদের ছাপিয়ে যাওয়ার জায়গায় চলে গিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা ধারেপাশেও নেই।’’