Natural Gas

শাখা পাইপলাইন নীতি চালু হলেও থাকল জট

গেলের মূল পাইপলাইন থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে যেতে শাখা পাইপলাইন পরিকাঠামোর সাধারণ নীতি নিয়ে বছরখানেক ধরে চর্চা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৩ ০৭:৩২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আশার পাশাপাশি রাজ্যে সস্তা ও দূষণহীন জ্বালানি প্রাকৃতিক গ্যাস জোগানের প্রকল্পকে এখনও ঘিরে রয়েছে কিছুটা সংশয়ের মেঘও!

Advertisement

গেলের মূল পাইপলাইন থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে যেতে শাখা পাইপলাইন পরিকাঠামোর সাধারণ নীতি নিয়ে বছরখানেক ধরে চর্চা চলছে। অবশেষে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের তরফে তা চূড়ান্ত করে প্রকাশ করেছে পূর্ত দফতর। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের বক্তব্য, সেই নীতিতে আগের চেয়ে ফি কমানো হলেও, আলোচনা পর্বে প্রস্তাবিত হারের চেয়ে এবং অন্যান্য অনেক রাজ্যের তুলনায় এখনও তা বেশি। স্পষ্ট নয় প্রকল্প এলাকার রাস্তা মেরামতির খরচের নীতিও। ফলে ভবিষ্যতে সংস্থার আর্থিক বোঝা বৃদ্ধির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আবার পানাগড় থেকে গয়েশপুর পর্যন্ত গেলের মূল পাইপলাইনের কাজ শেষের মুখে থাকলেও কয়েকটি জটের ফাঁদে পড়েছে সেটিও। প্রশাসনিক মহলের অবশ্য আশ্বাস, কাজ দ্রুত এগোতে সব রকম সাহায্য করা হবে।

২০০৫ সালে গেলের সঙ্গে আলোচনার কথা প্রথম জানান তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পালাবদলের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় উদ্যোগী হয় রাজ্য। গেলের পাইপলাইন পানাগড় পর্যন্ত চালু হয়েছে। সেখানে থেকে রাজারামবাটি এবং রাজারামবাটি থেকে নদিয়ার গয়েশপুরে চালুর লক্ষ্যমাত্রা ছিল গত জুনে। পাইপলাইন থেকে গ্যাস নিয়ে শাখা পাইপলাইনের মাধ্যমে গাড়ির জ্বালানি (সিএনজি) এবং বাড়ি-হোটেল-রেস্তরাঁয় রান্না ও শিল্পোৎপাদনের জ্বালানি (পিএনজি) হিসেবে তা জোগানোর দায়িত্ব আইওসি-আদানি, বিজিসি, এইচপিসি, আইওসি, বিপিসির মতো সংস্থাগুলির।

Advertisement

সূত্রের খবর, শাখা পাইপলাইন বসানোর সময়ে এক একটি পুরসভা বা স্থানীয় প্রশাসন বিপুল হারে (কোথাও কোথাও প্রায় ২০০০ টাকা) অনুমোদন ফি নেওয়ায় অন্তত বছরখানেক পিছিয়েছে সেই কাজ। সম্প্রতি নীতি প্রকাশ করে পূর্ত দফতর জানিয়েছে, পাইপ বসাতে জমি ব্যবহারের অনুমোদনের এককালীন চার্জ হবে মিটারে ১৫০ টাকা। তবে কলকাতা পুরসভায় ২০০ টাকা।

ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, খসড়া নীতির আলোচনায় মিটারে ফি (কলকাতা পুরসভা বাদে) ১০ টাকা করার প্রস্তাব জানিয়েছিল বিভিন্ন বণ্টন সংস্থা। বিহার (১২.৫০ টাকা), রাজস্থান (১ টাকা), উত্তরপ্রদেশ (১ টাকা) এবং মহারাষ্ট্রে (১ টাকা) তা অনেক কম। এমনকি তামিলনাড়ুতে শূন্য। ওড়িশা ও পঞ্জাবে চওড়া পাইপলাইনের জন্য কিছু ক্ষেত্রে বেশি হলেও বাকি ক্ষেত্রে শূন্যই। উপরন্তু ওই নীতিতে রাস্তা সারানোর ন্যূনতম ফি-র কোনও সার্বিক নীতি স্পষ্ট না করায় পরবর্তীকালে সমস্যার আশঙ্কা। গেল ও বণ্টন সংস্থাগুলি অবশ্য এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি।

অক্টোবরে গেলের মূল পাইপলাইনের মাধ্যমে গয়েশপুর পর্যন্ত গ্যাস জোগানের আশা থাকলেও সে ক্ষেত্রে কাঁটা মানকর, বাবলা, বীরপাড়ার কয়েকটি জায়গায় জমি ব্যবহারের অনুমতিতে জটিলতা। কিছু ক্ষেত্রে ‘অযৌক্তিক’ হারে ক্ষতিপূরণের চাহিদায় গেল ‘বাধ্য’ হয়ে পরিকল্পিত রুট বদলে ডিভিসির এলাকা দিয়ে পাইপ বসায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। দ্রুত বাকি জট না কাটলে ফের কাজ পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন