আলো যে-পথে

ডানকান ধাপে ধাপে বাগান খুলতে চায় নভেম্বর থেকেই

সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী মাসের গোড়ায় খুলতে চলেছে উত্তরবঙ্গে ডানকান গোষ্ঠীর বন্ধ ৭ বাগানের একটি। গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান জি পি গোয়েন্কা জানান, চা বাগানে নতুন ম্যানেজার ও অন্যান্য শূন্যপদে নিয়োগের কাজ চলছে। তবে কোন বাগানটি প্রথমে খুলবে তা স্পষ্ট করেননি তিনি।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:০৬
Share:

সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী মাসের গোড়ায় খুলতে চলেছে উত্তরবঙ্গে ডানকান গোষ্ঠীর বন্ধ ৭ বাগানের একটি। গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান জি পি গোয়েন্কা জানান, চা বাগানে নতুন ম্যানেজার ও অন্যান্য শূন্যপদে নিয়োগের কাজ চলছে। তবে কোন বাগানটি প্রথমে খুলবে তা স্পষ্ট করেননি তিনি।

Advertisement

পরিচালনায় ত্রুটির অভিযোগে ডানকানের ওই ৭টি বাগানকে ‘রুগ‌্‌ণ’ তকমা দিয়ে জানুয়ারিতে সেগুলি অন্য সংস্থাকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। তারা টি বোর্ডকেই পরিচালনার দায়িত্ব নিতে বলে। তবে বোর্ড জানায়, তারা যেহেতু নিয়ন্ত্রক সংস্থা, তাই পরিচালনার দক্ষতা তাদের নেই। তারা নতুন সংস্থা নির্বাচনের প্রক্রিয়া চালু করলেও, বিষয়টি গড়ায় আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গিরীশ গুপ্ত ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে ডানকানকে ৭টি বাগান চালাতে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয়। শর্ত ছিল শ্রমিকদের বকেয়া মেটানো ও বাগান পরিচালনার পরিকল্পনা টি বোর্ডকে ১৫ দিন অন্তর জানানো। তখনই গোয়েন্‌কা বলেন, বাগানে ম্যানেজার না-থাকায় নতুন নিয়োগ করা হবে। অন্যান্য প্রক্রিয়াও শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার গোয়েন্‌কা বলেন, ‘‘এক সঙ্গে ৭টি বাগানই চালু করতে পারব না। এক এক করে করব। নতুন নিয়োগের কাজ চলছে। বাগানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব। বাগানে তো এত দিন ঢুকতেই পারিনি। কর্মী ইউনিয়নের সঙ্গেও কথা বলছি। কিছুটা সময় লাগবে। আশা করছি, নভেম্বরের শুরুতে একটি বাগান খোলা সম্ভব হবে।’’

Advertisement

বস্তুত, কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির পর থেকে বাগানের পরিচালনভার কাদের হাতে রয়েছে তা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে। ডানকান-কর্তার দাবি, কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার অর্থ, গোষ্ঠীর হাত থেকে বাগানের পরিচালন ভার টি বোর্ডের হাতে চলে যাওয়া। ফলে যতক্ষণ না সেই অধিকার ফিরে পাচ্ছেন, ততক্ষণ কিছু ভাবারও উপায় ছিল না তাঁদের।

ডানকান-কর্তার ওই দাবি মানতে নারাজ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সন্তোষ ষড়ঙ্গী এ দিন বলেন, ‘‘আমরা কখনওই পরিচালনভার হাতে নিইনি। বাণিজ্য মন্ত্রক ও আদালতে জানিয়েছিলাম, এ জন্য সংস্থা নির্বাচন করব। তাই মালিকানা ও পরিচালনভার বরাবর ডানকান গোষ্ঠীর হাতেই ছিল। এখনও আছে।’’ তিনি আরও জানান, ৪টি বাগানের জন্য ৩টি সংস্থা বাছা হয়। যেহেতু গোটা বিষয়টি বিচারাধীন, এ জন্য আদালতে আর্জি জানান তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘সেই আবেদনের জন্য শুনানির দিন এখনও ধার্য হয়নি।’’ তবে যেহেতু অন্তর্বর্তী নির্দেশে আদালত ডানকান গোষ্ঠীকে ওই ৭ বাগান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে, তাই তারপর থেকেই অন্য বাগানগুলির জন্য আগ্রহপত্র চাওয়া স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ বলে জানান তিনি।

তবে হাইকোর্ট ডানকানকে বলেছিল, শ্রমিকদের বকেয়া মেটাতে হবে। বাগান পরিচালনার পরিকল্পনাও টি বোর্ডকে ১৫ দিন অন্তর তাদের জানাতে হবে। এ দিন বোর্ডের চেয়ারম্যানের অভিযোগ, ‘‘ওরা কিছু জানায়নি।’’ গোয়েনকা অবশ্য এ দিন পাল্টা দাবি করেন, ‘‘আমরা ১৫ দিন অন্তরই রিপোর্ট পাঠিয়েছি। আর ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার পরে চুক্তি হলে আমরা শ্রমিকদের বকেয়া মেটাতে শুরু করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন