চাকরির চাবিকাঠি হাতে নেই, মানল কেন্দ্র

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে যে প্রতিশ্রুতি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী দিয়েছিলেন, তার অন্যতম ছিল বছরে ২ কোটি কাজের সুযোগ তৈরি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৯ ০২:৪৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিপুল সংখ্যায় চাকরি তৈরির ক্ষমতা কেন্দ্রের নেই বলে মানলেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শমিকা রবি। যদিও ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছেন তিনি।

Advertisement

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার আগে যে প্রতিশ্রুতি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী দিয়েছিলেন, তার অন্যতম ছিল বছরে ২ কোটি কাজের সুযোগ তৈরি। কিন্তু অনেকে বলছেন, সেই সুযোগ তৈরির জন্য যে যে পরিবেশ জরুরি ছিল, তা হয়নি। মোদীর আমলে বেসরকারি লগ্নিতে ভাটা। তেমন ভাবে আসেনি বিদেশি লগ্নি। ফল দেয়নি মেক ইন ইন্ডিয়া বা স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়ার মতো প্রকল্প। রবির যদিও দাবি, দেখা গিয়েছে যে যে রাজ্যে সহজে ব্যবসার পরিবেশ ভাল, সেখানে বেকারত্বের হারও সারা দেশে গড়ের তুলনায় কম। তাঁর মতে, এটা বোঝা দরকার যে, উদ্যোগপতিদের হাত ধরেই দেশে কর্মসংস্থানের পথ তৈরির সুযোগ খুলবে। কিন্তু একমাত্র সরকারই চাকরি দেবে, তা হতে পারে না।

বিরোধীদের বরাবরেরই অভিযোগ, নোট বাতিল ও তাড়াহুড়ো করে জিএসটি চালুর ফলে সব চেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে ছোট-মাঝারি শিল্প। যাদের সঙ্গে যুক্ত দেশে কর্মরতদের একটা বড় অংশ। ফলে সামগ্রিক ভাবে কর্মসংস্থানের ছবিটাই খুব একটা ভাল নয় বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন রিপোর্ট। এমনকি এনএসএসও-র যে রিপোর্ট ফাঁস হয়েছে, সেখানেও দেখা গিয়েছে ২০১৭-১৮ সালে দেশে বেকারত্ব ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। এই অবস্থায় রবির ওই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

Advertisement

তবে আজ প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য রথীন রায়ের দাবি খারিজ করেছেন রবি। তার মতে, ভারতীয় অর্থনীতি ‘মাঝারি আয়ের ফাঁদ’-এ পড়ে আটকে যাবে না। বরং ভারতের উচিত আগামী দিনে বৃদ্ধির হার দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যাওয়া। আর সে জন্য আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। আর্থিক শৃঙ্খলা নিয়ে একই সুর শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়ের গলাতেও। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে দেশের অর্থনীতি ব্রাজিল বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো মাঝারি আয়ে আটকে যাওয়া নিয়ে সতর্ক করেছিলেন রথীন রায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement