আঙুলের ছাপ আধার তথ্যের সঙ্গে না মেলায় বহু প্রবীণ নাগরিকই পেনশন পাচ্ছেন না, হালে এই অভিযোগ বারেবারেই উঠে আসছে। কিন্তু এ বার লোকসভায় দাঁড়িয়ে সেই নালিশ জানালেন খোদ শাসকদলেরই সাংসদ। শুধু তাই নয়, একে গুরুতর সমস্যার তকমা দিয়ে বিহারের আওরঙ্গাবাদের বিজেপি সাংসদ সুশীল কুমার সিংহ বিষয়টির দ্রুত প্রতিকারও দাবি করেছেন।
এখন অনেক জায়গাতেই পেনশন দেওয়া জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আধার তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, এতে অনেক সময়ই নাজেহাল হচ্ছেন বহু বয়স্ক মানুষ। তাঁদের সুরেই সুশীলের বক্তব্য, বয়স হওয়ার কারণে আধার তথ্য ভাণ্ডারের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মিলছে না দেশের বহু লক্ষ পেনশনভোগীর। আর তাতেই আটকে যাচ্ছে টাকা।
শুধু পেনশনই নয়, এই সমস্যার জেরে অনেকেই অন্য নানা রকম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ সুশীলের। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সাংসদ জানান, তাঁর মায়ের আঙুলের ছাপ হাল্কা হয়ে যাওয়ায় মোবাইলের সিম পাননি। শেষ পর্যন্ত অন্যের নামে সংযোগ নিতে হয়েছে তাঁকে।
কেন্দ্রের তরফে এর আগে বহু বারই বলা হয়েছে আঙুলের ছাপ না মিললে চোখের মণির ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আধার তথ্য মিলিয়ে দেখার কথা। কিন্তু এ দিন সুশীলের দাবি, বয়সের কারণে চোখের মণির সমস্যাও হয়। তা ছাড়া, সারা দেশে মণি যাচাইয়ের সেই পরিকাঠামোও অপ্রতুল বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ দিকে, এই দিনই কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যালফনস কান্নানথামন রাজ্যসভায় জানান, আধার নথিভুক্তির পদ্ধতি নিয়ে নির্দেশিকা না-মানার অভিযোগে প্রায় ৫০ হাজার নথিভুক্তিকরণ সংস্থাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।