ট্রাম্পের শুল্ক-হুমকি, কথা চায় ইইউ

ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, এয়ারবাসকে উঁচু ভর্তুকি দিচ্ছে ইইউ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমেরিকা। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আইনি লড়াই চলছে বিগত ১৪ বছর ধরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ব্রাসেলস শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:১৩
Share:

বাণিজ্য যুদ্ধের সমাধান সূত্র খুঁজতে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে আলোচনা এখনও চলছে। দু’পক্ষেরই বক্তব্য, কথা চূড়ান্ত পর্যায়ে। কিন্তু এরই মধ্যে আমেরিকার বিমান সংস্থা বোয়িং এবং ইউরোপের এয়ারবাসকে কেন্দ্র করে নতুন করে হওয়া গরম হওয়া শুরু হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ১,১০০ কোটি ডলারের পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। পাল্টা একই ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইইউ। তবে আলোচনা এবং ভোটাভুটির পরে বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে ২৮টি রাষ্ট্রের গোষ্ঠী। যদিও ফ্রান্স প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় এবং বেলজিয়াম ভোটদানে বিরত থাকায় অস্বস্তি রয়েই গিয়েছে।

Advertisement

ওয়াশিংটনের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, এয়ারবাসকে উঁচু ভর্তুকি দিচ্ছে ইইউ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমেরিকা। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আইনি লড়াই চলছে বিগত ১৪ বছর ধরে। এরই মধ্যে আমেরিকা জানিয়েছে, ইইউ যদি এয়ারবাসকে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ না করে, তা হলে ইউরোপ থেকে আসা পণ্যের উপরে শুল্ক চাপাবে তারা। শুল্ক বসবে বিমানের যন্ত্রাংশ, হেলিকপ্টার, ডেয়ারি পণ্য-সহ বেশ কয়েকটি পণ্যের উপরে। দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বহু বছর ধরে আমেরিকার কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে আসছে ইইউ। খুব শীঘ্রই তা বন্ধ করা হবে।

ঘটনা হল, ইইউ-র ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের উপরে আগেই শুল্ক বসিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতির স্বার্থে দু’পক্ষের মধ্যে যে সমঝোতা হওয়া দরকার, সে ব্যাপারে এক মত হয়েছিল তারা। অনেকটা সেই সূত্র ধরেই ইইউ-র গাড়ির উপর শাস্তি শুল্ক বসানোর ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্ত চটজলদি কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে ইউরোপের ১,১০০ কোটি ডলারের পণ্যের উপরে শুল্ক চাপানোর হুমকি দেয় আমেরিকা।

Advertisement

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলের মতে, চিনের যত পণ্যের উপরে আমেরিকা আমদানি শুল্ক চাপিয়েছে, তার তুলনায় এই অঙ্ক অনেকটাই কম। কিন্তু বিশ্ব বাণিজ্যে এর প্রভাব যথেষ্ট। বিশেষ করে যখন আমেরিকা-চিন বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ব্রেক্সিটের আশঙ্কায় সারা বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির গতি কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তবে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারছিল না ইইউ। সম্প্রতি এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেন ইইউয়ের রাষ্ট্রদূতেরা। প্রাথমিক ভাবে সহমত হয়েছেন তাঁরা। এর পরেই মন্ত্রীদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এল ওই গোষ্ঠী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন