কম্পিউটার ঢুকে পড়েছে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ফলে টাইপরাইটারের দুনিয়ায় পড়ে থাকাটা কোনও কাজের কথা নয়। গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে না-পারলে হোঁচট খেতেই হবে। কারণ, কেন্দ্র ক্রেডিট-ডেবিট কার্ড ব্যবহারে প্রস্তাব দিয়েছে করছাড়ের। ১ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের কেনাকাটা কার্ডে করা বাধ্যতামূলক হতে পারে শীঘ্রই। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পে ব্যবহার বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তির।
কাজেই প্রযুক্তি থেকে মুখ ফেরানোর আর জায়গা নেই। পুরনো দিনের অনেকে এখনও এই আধুনিক প্রযুক্তিকে হয়তো মন থেকে গ্রহণ করতে পারেননি। অমূলক আশঙ্কা যার জন্য অনেকটাই দায়ী। ফলে অসুবিধায় পড়ছেন তাঁরা। দূরত্ব তৈরি হচ্ছে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে। অথচ ব্যাঙ্ক, বিমা ও বিনিয়োগের জগতে প্রযুক্তির প্রয়োগ বেড়ে ওঠায় সকলের সুবিধাই হয়েছে। যেমন—
• এটিএম। টাকা তোলা-সহ ব্যাঙ্কিংয়ের বহু কাজ এটিএম মারফত সারা যায়। কম যেতে হয় ব্যাঙ্কে। খোলা থাকে ৩৬৫ দিন, ২৪ ঘণ্টা। এটিএম কার্ডের ব্যবহার খুব সহজ। তা পণ্য কেনার জন্যও ব্যবহার করা যায়।
• অন-লাইন পেমেন্ট। ইন্টারনেট ব্যবহার করে কম্পিউটার বা মোবাইলে যে কোনও জায়গা থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা যায়। টাকা পাঠানো যায় যে-কোনও অ্যাকাউন্টে। টেলিফোন এবং বিদ্যুতের বিল, স্কুল-কলেজের ফি জমা করা যায়। কাটা যায় ট্রেন-প্লেনের টিকিট, বুক করা যায় হোটেল, সিনেমার টিকিট।
• পাশবই লেখানো। অনলাইন স্টেটমেন্ট বার করতে পারলে প্রতি মাসে ব্যাঙ্কে যেতে হয় না। বহু ব্যাঙ্ক এখন মেশিন বসিয়েছে, যাতে গ্রাহকরা নিজেরাই পাশবই আপডেট করতে পারেন, চেক জমা দিতে পারেন। ব্যবহার খুব সহজ। অভ্যাস হয়ে গেলে পুরনো পথে হাঁটতে মন চাইবে না।
• বিমা। অনলাইনেই দেখেশুনে কেনা যায় পলিসি। দেখা যায় চালু পলিসির অবস্থা। দেওয়া যায় প্রিমিয়াম।
• শেয়ার লেনদেন। ঘরে বসে নিজেই শেয়ার কেনাবেচা করা যায়, অনলাইনে আবেদন করা যায় নতুন ইস্যুতে। একই কথা প্রযোজ্য মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রেও।
• কেনাবেচা। নেটেই যাচাই করে কেনা যায় কলম-পেনসিল থেকে শুরু করে গাড়ি-বাড়িও। চাইলে বেচাও যায়। প্রয়োজন ফুরিয়েছে অথচ দেখতে শুনতে ভালই আছে এমন পণ্যের ছবি তুলুন ও প্রত্যাশিত দাম-সহ পাঠিয়ে দিন বিক্রির ওয়েবসাইটে।
এ ছাড়াও, প্রযুক্তির ব্যবহারে ট্যাক্সি ডাকুন, রেস্তোরাঁয় খাবার অর্ডার দিন, মোবাইল দিয়ে তথ্য স্ক্যান করুন, ছবি তুলুন এবং মুহূর্তে পাঠিয়ে দিন।