পার্লামেন্টে সিপ্রাস। ছবি: রয়টার্স।
হাতে সময় বলতে মোটে চার দিন। ইউরো ছেড়ে বেরিয়ে যেতে গ্রিস শেষ পর্যন্ত বাধ্য হবে কি না, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে রবিবারের মধ্যেই। কারণ, তার আগে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থমন্ত্রীদের সামনে গ্রিস গ্রহণযোগ্য সংস্কার কর্মসূচি পেশ করতে পারলে, তা নিয়ে নতুন করে দর কষাকষির জন্য রবিবারই হবে চূড়ান্ত বৈঠক। বসবেন ইইউ-র দেশগুলির মাথারা।
মঙ্গলবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস প্রতিশ্রুতি দেন যে, আগামী দু’তিন দিনের মধ্যেই সংস্কারের গ্রহণযোগ্য কর্মসূচি আলোচনার টেবিলে রাখবেন তাঁরা। গ্রিক অর্থনীতির আজকের এই হতশ্রী দশার জন্য সে দেশের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার অভিযোগ মেনে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তেমনই কাঠগড়ায় তুলেছেন, গত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে গ্রিসকে ক্রমাগত আরও বেশি করে ব্যয় সঙ্কোচের পথে চলতে বাধ্য করাকে। তাঁর দাবি, ‘‘ইইউ-র অংশ হিসেবেই থাকতে চায় গ্রিস। এবং তা করতে চায় করদাতাদের বোঝা না-হয়েই।’’ তবে তার জন্য ইইউ-র কাছ থেকেও ন্যায্য রফাসূত্র আশা করেছেন তিনি।
পার্লামেন্টে সিপ্রাসের বক্তৃতা এ দিন যেমন কিছু সদস্যের হাততালি আর অভিনন্দন কুড়িয়েছে, তেমনই সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। শুনতে হয়েছে, ইইউ-তে থাকার যোগ্যতাই গ্রিসের নেই। তার বোঝা বইতে গিয়ে বাকি ইউরোপ ক্লান্ত। কেন তাঁর সরকার কর আদায় বাড়ানো, খরচ ছাঁটাইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্পষ্ট লিখিত কর্মসূচি এখনও সামনে আনতে পারল না, তা নিয়েও কিছু সদস্যের কড়া সমালোচনা শুনতে হয় তাঁকে।