মহা ঝুঁকির তালিকায় ৯,৫০০ সংস্থা

অর্থ মন্ত্রকেরই গোয়েন্দা শাখা ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) এই তালিকা প্রকাশ করেছে। তাদের হুঁশিয়ারি, ‘‘এই সব সংস্থা আইনের ধার ধারে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:৫২
Share:

লগ্নি নিয়ে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক কাটাতে অবশেষে ‘মহা ঝুঁকি’-র আর্থিক সংস্থার একটি বড় তালিকা দাখিল করল অর্থ মন্ত্রক। যার আওতায় রয়েছে ৯,৫০০টি বেসরকারি আর্থিক সংস্থা বা নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি (এনবিএফসি)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্রধানত ২০১৬ সালের নভেম্বরে নোটবন্দির পরে বাতিল টাকায় বিপুল পরিমাণ নগদ জমা নেওয়াকে ঘিরে।

Advertisement

অর্থ মন্ত্রকেরই গোয়েন্দা শাখা ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) এই তালিকা প্রকাশ করেছে। তাদের হুঁশিয়ারি, ‘‘এই সব সংস্থা আইনের ধার ধারে না। ফলে সেখানে টাকা রাখা সাধারণ মানুষের উচিত নয়।’’ মূলত নোট নাকচের পরে বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ বা প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং আইন ভাঙার অভিযোগেই তাদের নজরবন্দি করেছে অর্থ মন্ত্রক। সংস্থাগুলিকে তাদের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য বিশদে জানাতে হবে এফআইইউ-কে।

এফআইইউ-র অভিযোগ নোট নাকচের পরে ৫০০ ও ১০০০ টাকার বাতিল নোটে বিপুল নগদ জমা নিয়েছিল ওই সব সংস্থা। পরে পুরনো তারিখ দিয়ে তার বিনিময়ে ইস্যু করা হয় আমানতের সার্টিফিকেট ও চেক।

Advertisement

আতসকাচে

এনবিএফসি কারা

• কোম্পানি আইনে নথিভুক্ত

• অনুমতি রয়েছে ঋণ দেওয়া, শেয়ার-ঋণপত্র লেনদেনের

• সায় নেই বাজার থেকে আমানত সংগ্রহ, চেক ইস্যুর

অভিযোগ যেখানে

• বেআইনি লেনদেনে ৯৫০০ সংস্থা

• নোটবন্দির ঠিক পরে বিপুল পুরনো নোট জমা নেওয়া

• তার বিনিময়ে তারিখ পিছিয়ে স্থায়ী আমানতের সার্টিফিকেট ও চেক ইস্যু

হুঁশিয়ারি

• আইন মেনে কাজ করে না এই সব সংস্থা

• সেখানে লগ্নি করতে নিষেধ অর্থ মন্ত্রকের গোয়েন্দা শাখার

এফআইইউ জানিয়েছে, ভারতে আর্থিক অপরাধে লাগাম পরানো এবং সেই সঙ্গে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে ওই সব সংস্থা সম্পর্কে সাবধান করাই তাদের লক্ষ্য। ২০১৮-র জানুয়ারি পর্যন্ত এই ধরনের যে সব সংস্থার হদিস মিলেছে, তালিকায় রাখা হয়েছে তাদের সব ক’টিকেই। এনবিএফসি-র মধ্যে পড়ছে সমবায় ব্যাঙ্কও। বেআইনি লেনদেনে অভিযুক্ত এই সব ব্যাঙ্কও মহা ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে।

এফআইইউ যে সব অভিযোগ তুলেছে, তার মধ্যে রয়েছে, সন্দেহজনক লেনদেনে এবং ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি নগদ লেনদেনে নজরদারির জন্য মুখ্য অফিসার নিয়োগ না করা। যে কারণে ওই ধরনের কাজের খোঁজ এত দিন পায়নি এফআইইউ। এই ধরনের বেসরকারি আর্থিক সংস্থা কোম্পানি আইনে নথিভুক্ত। ঋণ দেওয়া, শেয়ার-ঋণপত্র লেনদেন তাদের কাজের আওতায় পড়লেও আমানত সংগ্রহ বা নিজের নামে চেক ইস্যু করতে পারে না তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন