‘ফ্রিডম-২৫১’র কর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর

বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ২৫১ টাকার স্মার্ট ফোন ‘ফ্রিডম ২৫১’ বিক্রেতা সংস্থা রিংগিং বেলসের। সংস্থার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্ত শুরু হয়েছিল আগেই। আর এ বার সরাসরি এফআইআর করা হল রিংগিং বেলস-এর মালিক মোহিত কুমার গয়াল এবং প্রেসিডেন্ট অশোক চাড্ডার নামে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৬ ০৩:৪৭
Share:

বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ২৫১ টাকার স্মার্ট ফোন ‘ফ্রিডম ২৫১’ বিক্রেতা সংস্থা রিংগিং বেলসের। সংস্থার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্ত শুরু হয়েছিল আগেই। আর এ বার সরাসরি এফআইআর করা হল রিংগিং বেলস-এর মালিক মোহিত কুমার গয়াল এবং প্রেসিডেন্ট অশোক চাড্ডার নামে।

Advertisement

বিজেপি সাংসদ কিরীট সোমাইয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ নম্বর ধারায় প্রতারণার অভিযোগে এই এফআইআর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে আনা হয়েছে আয়কর আইন লঙ্ঘনের অভিযোগও। এফআইআরে সোমাইয়ার অভিযোগ ছিল, যে বৈশিষ্ট্যের ফোন আনার কথা বলা হচ্ছে, এত কম দামে তা সম্ভব নয়। সংস্থাটি মানুষকে ঠকাতেই এই রাস্তা বেছে নিয়েছে। পুলিশের দাবি, সোমাইয়ার অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে। যে কারণে সংস্থার কর্ণধার এবং প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র রিংগিং বেলসকে জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। তদন্তে সব রকম সাহায্য করা হবে বলে দাবি করেছে সংস্থা। এক বিবৃতিতে গয়াল জানান, প্রতিশ্রুতি মতো ৩০ জুনের মধ্যেই ফ্রিডম ২৫১ ফোনটি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- বাড়ছে বিমান যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ

Advertisement

প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারিতে ফোনটি আত্মপ্রকাশের আগেই মোবাইল নির্মাতাদের সংগঠন ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যাসোসিয়েশন (আইসিএ) আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, নয়ডার সংস্থাটি যে বৈশিষ্ট্যযুক্ত ফোন আনার কথা বলছে, তা আড়াইশো টাকায় বিক্রি করা সম্ভব নয়। সব ধরনের ভর্তুকি মিলিয়েও তার দাম ৩,৫০০ টাকার কম হবে না বলে দাবি করেছিল আইসিএ। একই সঙ্গে সোমাইয়াও বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, শেয়ার বাজার নিযন্ত্রক সেবিকে তদন্তের অনুরোধ জানান। এ সবের পরই বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রক। এই সব বৈশিষ্ট্য থাকতে হলে ফোনটির দাম কমপক্ষে ২,৩০০ টাকা হবে বলে জানিয়েছে তারাও।

এই সব বিতর্কের মধ্যেই রিংগিং বেলসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সংস্থা এবং তার প্রোমোটারদের আর্থিক অবস্থা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং হিসাব সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। এ দিকে আড়াইশো টাকার ফোনের পুরো বিষয়টির উপরই কেন্দ্র নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় টেলিকমমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদও। এমনকী প্রতিশ্রুতিমতো ফোনগুলি ক্রেতার হাতে তুলে না-দেওয়া হলে, আইন মেনে রিংগিং বেলসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন