ডাব্বাওয়ালাদের সঙ্গে জোট ফ্লিপকার্টের

কাঁটায় কাঁটায় সময় মেনে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুনিয়ার কাউকে রেয়াত করেন না মুম্বইয়ের ডাব্বাওয়ালারা। এমনকী ঠিক সময় গন্তব্যে পৌঁছতে তাঁদের বহু খারাপ ও জটিল রাস্তাঘাট অনায়াসে পেরিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাও তাক লাগায়। ব্যবসা বাড়াতে এ বার ডাব্বাওয়ালাদের এই সঠিক সময়ে নির্ভুল ভাবে পণ্য পৌঁছনোর দক্ষতাকেই পুঁজি করছে দেশের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন কেনাকাটার সংস্থা ফ্লিপকার্ট।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৪২
Share:

কাঁটায় কাঁটায় সময় মেনে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুনিয়ার কাউকে রেয়াত করেন না মুম্বইয়ের ডাব্বাওয়ালারা। এমনকী ঠিক সময় গন্তব্যে পৌঁছতে তাঁদের বহু খারাপ ও জটিল রাস্তাঘাট অনায়াসে পেরিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাও তাক লাগায়। ব্যবসা বাড়াতে এ বার ডাব্বাওয়ালাদের এই সঠিক সময়ে নির্ভুল ভাবে পণ্য পৌঁছনোর দক্ষতাকেই পুঁজি করছে দেশের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন কেনাকাটার সংস্থা ফ্লিপকার্ট।

Advertisement

মুম্বই ও তার সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ‘লাঞ্চবক্স’ পৌঁছনোর কাজে নিয়োজিত বিশ্বখ্যাত ডাব্বাওয়ালাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সংস্থাটি। চুক্তি অনুযায়ী, নিজেদের কাজকর্মের পরে ফ্লিপকার্টের পণ্য পৌঁছনোর দায়িত্বও নেবেন তাঁরা।

মুম্বই ডাব্বাওয়ালা অ্যাসোসিয়েশন -এর মুখপাত্র সুভাষ গঙ্গারাম তালেকর জানান, ফ্লিপকার্টের সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই কথা চলছিল। অবশেষে হল চুক্তিটি।

Advertisement

মুম্বই ও বৃহত্তর মুম্বই মিলিয়ে প্রায় ৫,০০০ ডাব্বাওয়ালা রোজ প্রায় ২ লক্ষ লোকের দুপুরের খাওয়ার পৌঁছে দেন। সে ক্ষেত্রে শহরের নানা প্রান্তের বাড়ি থেকে বাক্সে ভরা খাবার তুলে নিয়ে বিভিন্ন অফিস বা স্কুলে পৌঁছনো ও সেই বাক্স ফের ফিরিয়ে আনার কাজ বিকেল বিকেলই সারা হয়ে যায় তাঁদের। তার পর ঝাড়া হাত পা। ফ্লিপকার্ট ডাব্বাওয়ালাদের এই অবসর সময়কেই কাজে লাগাতে চাইছে। সুভাষের দাবি, প্রাথমিক আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক হয়েছে, বিকেলের পর থেকে ফ্লিপকার্টের পণ্য ক্রেতাকে পৌঁছনোর কাজ করবেন তাঁরা।

এই ডাব্বা-ওয়ালারা মুম্বই ও থানে, নভি মুম্বই-সহ তার সংলগ্ন ছ’টি পুরসভা এলাকা জুড়ে দুপুরের খাওয়ার বাক্স পৌঁছনোর কাজ করেন। ওই একই এলাকায় ফ্লিপকার্টের পণ্য পৌঁছবেন তাঁরা। গঙ্গারাম নিজে দক্ষিণ মুম্বইয়ের স্কুলগুলিতে ডাব্বার ব্যবসা করেন। তাঁর মতে, ছুটির সময় বাড়তি রোজগারের পথ খুলে দেবে ই-কমার্স সংস্থার সঙ্গে এই জোট। তবে টিফিন বাক্স সরবরাহে দক্ষ গঙ্গারামদের ফ্লিপকার্টের পণ্য সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তাই এ নিয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ফ্লিপকার্ট। দিন কয়েকের কর্মশালায় শেখানো হচ্ছে পণ্য পৌঁছনোর দায়িত্ব-সহ নানান খুঁটিনাটি বিষয়।

ফ্লিপকার্ট জানিয়েছে, যে কোনও পরিস্থিতিতেও ডাব্বাওয়ালাদের মসৃণ সরবরাহ পদ্ধতি, বিশ্বাসযোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় তারা। তাঁদের কড়া সময়ানুবর্তিতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ খোদ প্রিন্স চার্লসও। অবশ্য কী ভাবে, কোথা থেকে ফ্লিপকার্টের পণ্য তুলবেন তাঁরা, সে নিয়ে কথা চলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন