কলকাতার সীমা পেরিয়ে এ বার ভিন্ রাজ্যেও পা রাখতে আগ্রহী জলে ভাসমান হোটেল সংস্থা ফ্লোটেল। ভবিষ্যৎ ব্যবসার ক্ষেত্র হিসেবে তাদের তালিকায় আপাতত রয়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাত।
এক দশক আগে কলকাতায় প্রথম যাত্রা শুরু করে ‘ম্যানর ফ্লোটেল’। সংস্থার কর্ণধার মানব পালের দাবি, ভারতে তো বটেই, গোটা এশিয়ায় জলে ভাসমান এ ধরনের দ্বিতীয় কোনও হোটেল আর নেই। এর আগে একবার মুম্বইতেও এ রকম একটি ফ্লোটেল তৈরির প্রস্তাব পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক দিক থেকে সেই জায়গা যথেষ্ট যোগ্য ছিল না বলে পরিকল্পনা এগোয়নি।
সংস্থার দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মানববাবু বলেন, আগামী দিনে তাঁরা দেশের অন্যত্র ব্যবসা সম্প্রসারণে উৎসাহ পেয়েছেন পুজোর সময়ে মহারাষ্ট্র ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট পরিষেবার কর্তাদের কলকাতা সফর থেকে। সরেজমিনে কলকাতার ফ্লোটেলটি পরিদর্শন করে তাঁরা নতুন করে মুম্বইয়ের দু’তিনটি জায়গা বাছাই করার প্রস্তাব দিয়েছেন মানববাবুদের কাছে। সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হবে। এবং এ বার লগ্নি করার ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী।
পাশাপাশি, গুজরাতে সাবরমতী নদীতেও এ রকম একটি ফ্লোটেল গড়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তাঁরা। তবে মানববাবু জানান, সেখানে জল সরবরাহ যথেষ্ট না-হওয়ার জন্য গোড়ায় পরিকল্পনাটি খুব একটা এগোয়নি। কিন্তু বাঁধ গড়ে জল সরবরাহ জোগানের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে গুজরাত সরকার। সেটি কার্যকর হলে সেখানে প্রকল্প গড়ার ব্যাপারেও আশাবাদী ফ্লোটেল কর্তৃপক্ষ।
এ রাজ্যে অবশ্য এখনই দ্বিতীয় ফ্লোটেল খোলার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বজরার আদলে একটি বজরা চালুর পরিকল্পনা তাঁদের রয়েছে বলে জানিয়েছেন মানববাবু।
২০১৩-’১৪ সালে সংস্থা ১০.৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। মানববাবুর দাবি, পর্যটন ব্যবসায় কিছুটা ভাটার টান থাকায় গত বছরে ব্যবসা কমেছিল। এ বার অবশ্য তাঁরা আশাবাদী, চাকা কিছুটা ঘুরবে।