অবশেষে কিছুটা স্বস্তি বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির। শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা রাখতে তাদের উপর চাপানো ৪০ হাজার কোটি টাকার করের বোঝা কিছুটা লাঘব করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। কারণ, এখনও পর্যন্ত ভারতের শেয়ার বাজারের অন্যতম চালিকাশক্তির ভূমিকায় রয়েছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থা বা এফ আই আই-রা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাদের ক্ষোভ কমাতেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।
অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে বুধবার বেশি রাতে জানানো হয়েছে, যে-সমস্ত দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বৈত কর প্রতিরোধ চুক্তি রয়েছে, সে সব রাষ্ট্রের আর্থিক সংস্থার ওপর বসবে না ওই বিতর্কিত ন্যূনতম বিকল্প কর বা মিনিমাম অলটার্নেট ট্যাক্স (ম্যাট)। এর জেরে সিঙ্গাপুর ও মরিশাসের লগ্নিকারীরা রেহাই পাবেন, কারণ ওই দু’ই দেশ দ্বৈত কর প্রতিরোধ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। বাদবাকি দেশের লগ্নিকারীরা এই কর এড়াতে আদালতে আর্জি জানাতে পারবেন। তার কারণ করের দাবি থেকে পুরোপুরি সরে আসা ভারত সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। অর্থ প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিংহ, রাজস্ব সচিব শক্তিকান্ত দাস এবং কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের চেয়ারপার্সন অনীতা কপূরের সঙ্গে ক্ষুব্ধ বিদেশি লগ্নিকারীদের বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, শেয়ার বাজারে লগ্নিকারী বিদেশি সংস্থার কর-বিহীন মূলধনী লাভে ২০% হারে ম্যাট বসানো নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। ৩ বছর তারা এই খাতে কর দেয়নি। এ দিকে, টানা পাঁচ দিন পতনের খরা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার বাজার। বুধবার সেনসেক্স ২১৪ পয়েন্ট বেড়ে ছোঁয় ২৭,৮৯০.১৩ অঙ্ক।