শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর এস বেঙ্কটরমণন। ছবি: সংগৃহীত।
গত ’৯০-এর দশকের গোড়া। কেন্দ্রীয় সরকারে ক্রমাগত বদলে অস্থির জাতীয় রাজনীতি। প্রবল সঙ্কটজনক জায়গায় আমদানি-রফতানি ঘাটতি ও বৈদেশিক ঋণ। সঙ্কটমুক্তির লক্ষ্যে তখন একের পর এক প্রশাসনিক ও আর্থিক সংস্কারের মধ্যে দিয়ে চলেছে দেশ। সেই সময়ে মুদ্রা এবং আর্থিক বাজারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে হয়েছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে। যা বড় বিপদের দোরগোড়া থেকে জাতীয় অর্থনীতিকে ফিরিয়েছিল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। ওই সমস্ত সিদ্ধান্তের অন্যতম রূপকার তথা শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর এস বেঙ্কটরমণন শনিবার সকালে চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বয়সজনিত কারণেই বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। তাঁর দুই কন্যা রয়েছেন। বেঙ্কটরমণনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
১৯৯০-৯২ সালে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ছিলেন বেঙ্কটরমণন। ঠিক যে সময়ে সোনা বন্ধক রেখে বৈদেশিক ঋণের বোঝা সামাল দিয়ে দেউলিয়া হওয়া ঠেকাতে হয়েছে ভারতকে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর এক প্রাক্তন গভর্নর সি রঙ্গরাজন এক সময়ে জানিয়েছিলেন, ভারতের রফতানিকে লাভজনক করার জন্য টাকার অবমূল্যায়নের মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বেঙ্কটরমণন। তার আগে অবশ্য তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সবুজ সঙ্কেত পেয়েছেন তিনি। একই সময়ে সারা বিশ্বের সামনে খুলে যাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতির দরজা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুদ্রার দামও বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করেছিল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। প্রায় একই সময়ে ঘটে শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি। যার মূল চক্রী হর্ষদ মেহতা। সেই ঝড়ও কিছুটা সামলাতে হয়েছে তাঁকে। তার আগে ১৯৮৫-৮৯ অর্থ মন্ত্রকের সচিব পদেও কাজ করেছিলেন বেঙ্কটরামণ্যন।