রাজ্যের আইনে আপত্তি

সুপ্রিম কোর্টে আবাসনের ক্রেতা সংগঠন 

অসাধু প্রোমোটারদের দৌরাত্ম্য রুখে বাড়ি-ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে আইন তৈরি করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তার পরে এ বিষয়ে নিজস্ব আইন এনেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:১০
Share:

অসাধু প্রোমোটারদের দৌরাত্ম্য রুখে বাড়ি-ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে আইন তৈরি করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তার পরে এ বিষয়ে নিজস্ব আইন এনেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ বার রাজ্যের সেই আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল ফ্ল্যাট-বাড়ি ক্রেতাদের সংগঠন। সোমবার সেই মামলা গ্রহণ করে রাজ্যের জবাবদিহি চেয়ে নোটিস জারি করেছে শীর্ষ আদালতও।

Advertisement

২০১৬ সালে কেন্দ্র আবাসন নিয়ন্ত্রণ আইন (রিয়েল এস্টেট রেগুলেশন অ্যাক্ট) তৈরি করার প্রায় এক বছর পরে এ বিষয়ে নিজস্ব আইন (দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউসিং ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেশন অ্যাক্ট) এনেছিল রাজ্য। কিন্তু ক্রেতা সংগঠনের (ফোরাম ফর পিপল্‌স কালেক্টিভ এফোর্টস) অভিযোগ, কেন্দ্রের আইন লঘু করে আবাসন নির্মাতাদের আসলে সুবিধা করে দিয়েছে রাজ্য।

ফোরামের আর্জি, রাজ্যের আইনে স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। বলবৎ হোক কেন্দ্রীয় আইনই। কারণ, একই বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের আইন থাকলে, কেন্দ্রের আইনেরই শেষ কথা বলা উচিত। বিধানসভায় বিল পাশ হলেও তাতে সম্মতি চাওয়ার সময়ে রাজ্যপালকে সমস্ত তথ্য জানানো হয়নি বলেও তাদের অভিযোগ। কেন্দ্রের আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠিতে আইন প্রত্যাহার করতে বলেছিল।

Advertisement

ফোরামের সভাপতি অভয় উপাধ্যায় আগেও কেন্দ্রের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্যের আইনের মধ্যে সংঘাত রয়েছে। কেন্দ্রীয় আইনে বলা রয়েছে, যুদ্ধ কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য প্রোমোটাররা ফ্ল্যাটের চাবি দেওয়া পিছিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু রাজ্যের আইনে রয়েছে, এর বাইরেও নানা কারণ রাজ্য স্তরে ঠিক হতে পারে। খোলা জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধাকেও গ্যারাজ বলে বিক্রির স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি এ কে সিক্রি এবং এস আব্দুল নাজির রাজ্যের বক্তব্য জানতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আইনজীবী দেবাশিস ভারুকা জানান, দু’সপ্তাহের মধ্যে বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন