ইঙ্গিত আগেই ছিল। রবিবার তেল রফতানিকারী দেশগুলির মধ্যে বৈঠকেও তেলের উৎপাদন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত বহাল থাকায় বিশ্ব বাজারে ঊর্ধ্বমুখী অশোধিত তেলের দর। সোমবার সকালে তা প্রায় এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যায়।
আগামী জুন পর্যন্ত দৈনিক তেলের উত্তোলন ১২ লক্ষ ব্যারেল ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক। ইতিমধ্যে ইরান ও ভেনেজুয়েলায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং সৌদির তেলবাহী জাহাজে ড্রোন হামলার প্রেক্ষিতে রবিবার বৈঠকে বসেছিল ওপেক এবং রাশিয়ার মতো তাদের সহযোগী দেশগুলি। সৌদি আরবের তেল মন্ত্রী খালিদ আল-ফলিহ্ জানান, বৈঠকে তেলের মজুত ভাণ্ডার ধীরে ধীরে কমানোর ব্যাপারেই সহমত হয়েছে সব পক্ষ। উৎপাদন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জুনের বৈঠকের উপরেই ছেড়েছেন তাঁরা।
এই প্রেক্ষিতে সোমবার অশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৩৪ সেন্ট বেড়ে পৌঁছয় ৭৩.৪০ ডলারে। যা গত ২৬ এপ্রিলের পরে সর্বোচ্চ। রাতে অবশ্য তা ৭২.৪৭ ডলারে নেমে আসে। ওপেক ও সহযোগী দেশগুলির তেলের উৎপাদন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং তেলের দামে রাশ টানতে উত্তোলন বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ওপেকের দাবি, চাহিদার তুলনায় তেলের জোগান এখন বেশি। শুধুমাত্র আমেরিকার মজুতই ২০১৭ সালের পরে সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে। সৌদির আশ্বাস, তেলের জোগান নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, পরিস্থিতি একই থাকলে অশোধিত তেলের দরের পারদ উপরের দিকেই থাকবে।