তেলের দর রোজ বদলের নিয়ম চালুর পরে বেকুব বনার আশঙ্কায় কাঁটা ক্রেতারা। তাঁদের প্রশ্ন, নতুন বিধি বলবৎ হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত না-হয় দাম কমেছে। কিন্তু তা যখন বাড়বে, তখন সেই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হবে না তো! বাড়তি আয়ের লোভে তখন যদি পাম্পগুলি বেশি দামে বিক্রির জন্য তেল মজুতের পথে হাঁটে? যাতে দাম বাড়লে ফায়দা লোটা যায়। আর সেটা হলে ঠকবেন গ্রাহকরা। তেল সংস্থা ও পেট্রোল পাম্প ডিলারদের সংগঠন যদিও আশঙ্কা অমূলক বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের দাবি, এই অনিয়ম রোখার নজরদারি পোক্ত। আগামী দিনে তা আরও জোরদার করা হবে।
সম্প্রতি চালু হয়েছে দৈনিক তেলের দর সংশোধনের প্রক্রিয়া। পরের দিন সকাল ৬’টা থেকে তার দাম কত হবে, তা পাম্পগুলিকে রোজ আগের দিন রাত ৮টার পরেই জানিয়ে দিচ্ছে ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম। আর ক্রেতাদের ঠকে যাওয়ার আশঙ্কা দানা বাঁধছে এখানেই। কারণ, পর দিন সকাল থেকে দাম বাড়ার কথা জেনে গেলে, ডিলাররা ছলছুতোয় আগের দিন রাতেই তেল বিক্রি বন্ধ করতে পারেন বলে অনেকের আশঙ্কা। তখন কেউ চাইলেও কম দামে গাড়িতে তেল ভরে রাখতে পারবেন না।
কিন্তু সংস্থাগুলির দাবি, রোজ পাল্টানোয় দামের ফারাক এখন কয়েক পয়সার বেশি হচ্ছে না। ফলে বেশি দাম পেতে তেল মজুত করে ডিলারদের লাভ হবে না। তা ছাড়া, এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবসা বন্ধ হবে। ওয়েস্টবেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তুষার সেনের দাবি, তেল সংস্থাগুলির নজরদারি থাকায় এ ভাবে মজুত সম্ভব নয়। রাজ্যে ৪০-৫০% পাম্পে তেল সরবরাহ ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়। ডিপো থেকে পাম্প পর্যন্ত তেল জোগান, বিক্রি-সহ সব তথ্য সংস্থার নজরে থাকে। বহু দিনই এই ব্যবস্থা সব পাম্পে চালুর দাবিও তুলছেন ডিলাররা।
নালিশ জানাতে
•
পাম্পে সংস্থার ফিল্ড অফিসারের ফোন নম্বর ও ই-মেল লেখাই থাকে। তেল পেতে অসুবিধা হলে অভিযোগ জানাতে পারেন সেখানে
•
এখন ওই ফোন নম্বর, ই-মেল আরও স্পষ্ট ভাবে ডিজিটাল বোর্ডে দেখানোর কথা ভাবা হচ্ছে