গত মন্দার থেকেও দীর্ঘ এই সঙ্কট, সতর্কবার্তা গোল্ডম্যানের

চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসও ছাঁটাই করে ৬% করেছে গোল্ডম্যান। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৫৩
Share:

গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর সতর্কবার্তা, আর্থিক বৃদ্ধিতে যে ধাক্কা লেগেছে তার অন্যতম কারণ চাহিদায় টান ঠিকই।

বিশ্ব মন্দার ফলে এক দশক আগে ভারত যে আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েছিল, এ বারের সমস্যা তার চেয়েও দীর্ঘ মেয়াদি বলে সতর্ক করল মূল্যায়ন সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাক্স। তাদের সতর্কবার্তা, আর্থিক বৃদ্ধিতে যে ধাক্কা লেগেছে তার অন্যতম কারণ চাহিদায় টান ঠিকই। কিন্তু শুধু এনবিএফসিগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার ফলেই যে সাধারণ মানুষ ভোগ্যপণ্য কেনার জন্য ঋণ পাচ্ছেন না এবং তার ফলেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিক্রিবাটায় টান দেখা গিয়েছে— এত সহজ ভাবেও বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করলে চলবে না। বরং সমস্যার শিকড় আরও গভীরে। চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসও ছাঁটাই করে ৬% করেছে গোল্ডম্যান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার গোল্ডম্যানের মুখ্য অর্থনীতিবিদ প্রাচী মিশ্র বলেন, ‘‘বৃদ্ধির হার ২ শতাংশ বিন্দু কমেছে। অর্থনীতিতে এ বারে ধাক্কা অনেক দীর্ঘ মেয়াদি। অন্তত ২০ মাস ধরে চলছে। ২০০৮ সালের মন্দার মেয়াদও এত দিন ছিল না।’’

গোল্ডম্যানের গবেষণা অনুযায়ী, এর পিছনে রয়েছে মূলত তিনটি কারণ। বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সমস্যা, চাহিদায় টান এবং লগ্নি ও ঋণ বৃদ্ধির হার কমা। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানো এবং কেন্দ্রের কর্পোরেট কর হ্রাসের কাঁধে ভর করে অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে বৃদ্ধির হারে গতি ফিরতে পারে বলে জানান তিনি।

Advertisement

রিপোর্ট বলছে

• এপ্রিল-জুনে বৃদ্ধি নেমেছে ৫ শতাংশে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
• সমস্যায় ৪০% দায় আন্তর্জাতিক অর্থনীতির, ৩০% দেশে চাহিদা কমার এবং বাকি ৩০% ঋণ ও বিনিয়োগে ভাটার।
• ঋণনীতি ও শিল্প ঋণ ছাঁটাইয়ের ফলে অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
• এনবিএফসির সমস্যা শুরু গত বছরের সেপ্টেম্বরে।
• চাহিদা কমতে শুরু করেছে আরও আগে থেকে।
• সুতরাং এনবিএফসির মাধ্যমে ভোগ্যপণ্যের ঋণ কমা চাহিদা হ্রাসের এক মাত্র কারণ নয়।

এরই মধ্যে কর সংগ্রহ প্রত্যাশিত না হওয়ার ফলে কেন্দ্রের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখতে না পারার আশঙ্কা। সরকারের একাধিক সূত্রের বক্তব্য, বছরের শেষে লক্ষ্যমাত্রার (জিডিপির ৩.৩%) চেয়ে তা ৩০-৫০ বেসিস পয়েন্ট বেশিও হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন