চটের বস্তাই কেন, তরজা দুই মন্ত্রকে

বস্ত্র মন্ত্রকের স্থায়ী পরামর্শদাতা কমিটি চলতি বছরেই সুপারিশ করেছে, চিনির ক্ষেত্রে তার বাধ্যতামূলক ব্যবহার ২০% রাখা হলেও, খাদ্যশস্য বহনে বাড়িয়ে ১০০% করার।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৮ ০২:৩৮
Share:

চটের বস্তার ব্যবহার নিয়ে ফের জোর তরজায় কেন্দ্রীয় বস্ত্র এবং খাদ্য ও গণ বণ্টন মন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, খাদ্য মন্ত্রক চায় খাদ্যশস্য ভরতে ৯০% চটের বস্তা ব্যবহারের যে বাধ্যতামূলক নিয়ম রয়েছে, তা কমিয়ে ৮৫% করা হোক। পুরোপুরি তুলে দেওয়া হোক চিনি সরবরাহের জন্য ২০% চটের বস্তা ব্যবহারের বিধি। অথচ বস্ত্র মন্ত্রকের স্থায়ী পরামর্শদাতা কমিটি চলতি বছরেই সুপারিশ করেছে, চিনির ক্ষেত্রে তার বাধ্যতামূলক ব্যবহার ২০% রাখা হলেও, খাদ্যশস্য বহনে বাড়িয়ে ১০০% করার। সম্প্রতি এক বৈঠকে তার বিরুদ্ধেই খাদ্য মন্ত্রক নিজেদের দাবি জানিয়েছে বলে খবর।

Advertisement

১৯৮৭ সালের এক আইনে খাদ্যশস্য ও চিনির ক্ষেত্রে চটের বস্তা ব্যবহারের হার বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বহু দিন ধরেই তা ধাপে ধাপে তোলার পক্ষে সওয়াল করছে বিভিন্ন মন্ত্রক ও চিনি শিল্প। যুক্তি, এতে সরকারের বেশ কিছুটা খরচ বাঁচবে। একই সঙ্গে চটের বস্তার বাধ্যতামূলক ব্যবহার কমলে সাবলম্বী হতে বাধ্য হবে চটকলগুলি। কারণ এ সংক্রান্ত আইন কার্যত সুরক্ষাকবচ হয়ে রয়েছে তাদের কাছে। ওই বস্তার ব্যবহার ধাপে ধাপে কমানো শুরু হলে তবেই বিভিন্ন ধরনের উন্নত মানের পাটজাত পণ্যের সম্ভার তৈরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে তারা।

বিতর্কের কেন্দ্রে

Advertisement

• খাদ্যশস্য ভরার ক্ষেত্রে চটের বস্তা ব্যবহারের বাধ্যতামূলক হার ৯০% থেকে কমিয়ে ৮৫% করা হোক, দাবি খাদ্য মন্ত্রকের।

• চিনির ক্ষেত্রেও ২০% চটের বস্তা ব্যবহারের নিয়ম তুলে দেওয়ার পক্ষে তারা।

প্রসঙ্গত, চটের বস্তা খাতে কেন্দ্র বছরে প্রায় ৫,৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়। যার প্রায় পুরোটাই পায় পশ্চিমবঙ্গের চটকলগুলি। কারণ এই শিল্পের ৪ লক্ষ শ্রমিক ও ৪০ লক্ষ পাট চাষির প্রায় ৯০% এ রাজ্যের। অধিকাংশ চটকলও এখানে।

কমিটি অবশ্য সুপারিশে খাদ্য শস্যের জন্য ১০০% চটবস্তা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি বলেছিল, চটকলগুলি তা জোগাতে না পারলে প্রথমে ১০% ও সারা বছরে সর্বোচ্চ ৩০% পর্যন্ত অন্য বস্তা কেনা যাবে। তবে ১০০% দূর অস্ত্‌, এখনকার ৯০ শতাংশের বিধিতেই প্রবল আপত্তি খাদ্য মন্ত্রকের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন