চাষির আয় বাড়াতে প্রকল্প রাজ্যে

প্রকল্পের লক্ষ্য শস্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বিপনন যৌথ ভাবে সারার ব্যবস্থা করা। সুব্রতবাবু জানান, পশ্চিমবঙ্গে ২০ জন মিলে এক একর জমি চাষ করেন। এতে খরচ বেশি পড়ে। ট্রাক্টর বা টিলার ব্যবহারে সমস্যা হয়। শস্য ঠিক মতো বিপণন করে লাভ বাড়ানোর সুযোগও কম। সরাসরি বড় পাইকারি ক্রেতা বা বড় খুচরো বাজারে সেগুলি বেচার সুযোগ নিতে পারেন না চাষি। সুবিধা নেই নেট বাজারে বিক্রিরও। ফলে মোট দামের ৮৫% যায় মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৩৭
Share:

কৃষকদের শস্য উৎপাদন ও বিপণনের সুবিধা দিতে ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশন (এফপিও) প্রকল্পটি তৈরি করেছে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (নাবার্ড)। এ বার তা চালু হচ্ছে রাজ্যে। নাবার্ডের পশ্চিমবঙ্গ শাখার চিফ জেনারেল ম্যানেজার সুব্রত মণ্ডলের দাবি, এ ধরনের প্রকল্প রাজ্যে প্রথম। যা কার্যকর হলে চাষিদের আয় প্রায় তিন গুণ বাড়বে বলেও দাবি তাঁর।

Advertisement

প্রতিটি এফপিও নথিভুক্ত হবে প্রডিউসার্স কোম্পানি অ্যাক্টের আওতায়। প্রকল্পে থাকবে ৫০০-১,০০০ জন সদস্যের একাধিক ইউনিট। তাঁরাই হবেন ইউনিটটির শেয়ারহোল্ডার। সুব্রতবাবু জানান, শেয়ার বাবদ চাষির লগ্নি করা টাকার সমপরিমাণ কেন্দ্রের স্মল ফার্মার্স অ্যাগ্রো বিজনেস কনসোর্টিয়াম থেকে ঋণ মিলবে। ঋণের সর্বোচ্চ অঙ্ক হতে পারে ১০ লক্ষ। কৃষকদের শেয়ারে লগ্নি এবং কনসোর্টিয়ামের টাকা মিলে যে অঙ্ক দাঁড়াবে, তার সমান ঋণ দেবে
ব্যাঙ্কগুলি। অর্থাৎ ১০ লক্ষ টাকার শেয়ার হলে তার সঙ্গে কনসোর্টিয়াম ও ব্যাঙ্ক ঋণ যোগ করে প্রতিটি ইউনিট শস্য উৎপাদন ও বিপননে ৪০ লক্ষ পর্যন্ত মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে। এফপিও গড়তে নানা খাতের প্রাথমিক খরচও জোগাবে নাবার্ড।

প্রকল্পের লক্ষ্য শস্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বিপনন যৌথ ভাবে সারার ব্যবস্থা করা। সুব্রতবাবু জানান, পশ্চিমবঙ্গে ২০ জন মিলে এক একর জমি চাষ করেন। এতে খরচ বেশি পড়ে। ট্রাক্টর বা টিলার ব্যবহারে সমস্যা হয়। শস্য ঠিক মতো বিপণন করে লাভ বাড়ানোর সুযোগও কম। সরাসরি বড় পাইকারি ক্রেতা বা বড় খুচরো বাজারে সেগুলি বেচার সুযোগ নিতে পারেন না চাষি। সুবিধা নেই নেট বাজারে বিক্রিরও। ফলে মোট দামের ৮৫% যায় মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।

Advertisement

দাবি, এফপিওতে এক সঙ্গে অনেকটা বীজ কেনা, উৎপাদিত শস্য ঝাড়াই-বাছাই, প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি করা যাবে। তুলনায় কম খরচে ব্যবহার করা যাবে হিমঘর, গুদাম, চাষের যন্ত্র। নেটে বিপণনের সুবিধা মিলবে। সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘এই ব্যবস্থায় দামের ৪০% পর্যন্ত পাবেন চাষিরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন