কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০,০০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে তা ছাপিয়ে ৮৫,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে বিলগ্নিকরণের অঙ্ক। যদিও এই লক্ষ্য পূরণ করতে এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে দিয়ে অন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অংশীদারি কেনানো কিংবা বাজার থেকে শেয়ার ফিরিয়ে রাজকোষ ভরানোর মতো পদক্ষেপ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এ দফায় বিলগ্নিকরণের নতুন অস্ত্র হিসেবে উঠে এসেছে শত্রু শেয়ার। তা বিক্রি করে রাজকোষে এসেছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের (ইটিএফ) মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করে রাজকোষে এসেছে সবচেয়ে বেশি অঙ্ক। প্রায় ৪৫,৭২৯ কোটি। বাজার থেকে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার ফিরিয়ে (বাইব্যাক) ১০,৬০০ কোটি টাকা এসেছে সরকারের ঘরে।
যাঁরা পাকিস্তান বা চিনে চলে গিয়েছেন এবং এখন আর ভারতের নাগরিক নন, এ দেশে তাঁদের রেখে যাওয়া সম্পত্তিকে বলা হয় শত্রু সম্পত্তি। যা থাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে। সেই সম্পদের যে অংশ বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার হিসেবে রয়েছে তার পোশাকি নাম শত্রু শেয়ার। গত বছর নভেম্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই সমস্ত শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। সেই খাতেই উঠে এসেছে ৭০০ কোটি।
সেই সঙ্গে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আরইসিতে নিজেদের ৫২.৬৩% অংশীদারি আর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পিএফসিকে নিয়ে কিনিয়েছে কেন্দ্র। তার ফলে সরকারের হাতে এসেছে ১৪,৫০০ কোটি। বাজারে প্রথম শেয়ার (আইপিও) ছাড়া হয়েছে পাঁচটি সংস্থার। সেই খাতে ঘরে এসেছে ১,৯২৯ কোটি টাকা।
গত অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২,৫০০ কোটি টাকা। তা ছাপিয়ে কেন্দ্র তুলেছিল ১ লক্ষ কোটি। যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। চলতি অর্থবর্ষে লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে বাড়তি আরও প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই নিয়ে পর পর দু’টি অর্থবর্ষে লক্ষ্যমাত্রা পার করল কেন্দ্র। আগামী অর্থবর্ষে লক্ষ্য ৯০,০০০ কোটি টাকা।