জিএসটি-র খসড়া বিধি পেশ

পণ্য-পরিষেবা কর বা জিএসটি চালুর লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোল কেন্দ্র। নতুন এই পরোক্ষ কর ব্যবস্থার খসড়া বিধি আজই জানাল কেন্দ্রীয় উৎপাদন ও আমদানি শুল্ক পর্ষদ বা সেন্ট্রাল বোর্ড অব এক্সাইজ অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিইসি)। এর আওতায় রয়েছে এই করদাতাদের সরকারের খাতায় নথিভুক্তি, চালান দেওয়া-নেওয়া ও কর মেটানোর প্রস্তাবিত নিয়ম-কানুন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫৯
Share:

পণ্য-পরিষেবা কর বা জিএসটি চালুর লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোল কেন্দ্র।

Advertisement

নতুন এই পরোক্ষ কর ব্যবস্থার খসড়া বিধি আজই জানাল কেন্দ্রীয় উৎপাদন ও আমদানি শুল্ক পর্ষদ বা সেন্ট্রাল বোর্ড অব এক্সাইজ অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিইসি)। এর আওতায় রয়েছে এই করদাতাদের সরকারের খাতায় নথিভুক্তি, চালান দেওয়া-নেওয়া ও কর মেটানোর প্রস্তাবিত নিয়ম-কানুন। সিবিইসি এ ব্যাপারে মতামত চেয়েছে, যা জানাতে হবে বুধবারের মধ্যে। জিএসটি পরিষদের দ্বিতীয় বৈঠক বসছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। সেখানেই এই বিধি চূড়ান্ত হওয়ার কথা। প্রসঙ্গত, জিএসটি পরিষদের প্রথম বৈঠক বসেছিল গত ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর।

আগামী ১ এপ্রিল থেকে জিএসটি চালুর লক্ষ্যেই এগোচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ প্রকাশিত হল এই খসড়া বিধি। মূলত তিনটি বিষয়ে নতুন নিয়মের সুপারিশ করা হয়েছে এই খসড়ায়। সেগুলি হল: প্রথমত, ভারতে বসবাসকারী করদাতারা আবেদন জমার তিন দিনের মধ্যে অনলাইনে নথিভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয়ত, অনাবাসী ভারতীয়দের ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরুর কমপক্ষে ৫ দিন আগে আবেদন করতে হবে ও করের টাকা আগাম জমা দিতে হবে। তৃতীয়ত, আবেদনকারী করদাতাকে নিজের প্যান, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর, ই-মেল দাখিল করতে হবে।

Advertisement

নথিভুক্তির নিয়ম-কানুন বিশদে ব্যাখ্যাও করেছে এই খসড়া। সেখানে বলা হয়েছে, সব নথি ঠিকঠাক থাকলে সংশ্লিষ্ট অফিসার আবেদন জমা পড়ার তিনটি কাজের দিনের মধ্যেই করদাতার নথিভুক্তি সম্পূর্ণ করতে পারবেন। তা না-হলে তিন দিনের মধ্যেই আবেদনকারীকে জানাতে হবে, আর কী কী তথ্য তাঁকে জমা দিতে হবে। তথ্য হাতে আসার সাত দিনের মধ্যে সে ক্ষেত্রে তাঁকে নথিভুক্ত করতে হবে। একই সংস্থার বিভিন্ন বিভাগ বা শাখা এই করের আওতায় এলে সেগুলিকে আলাদা নথিভুক্তি দেওয়া হবে। নথিভুক্তির পরে ব্যবসা কেন্দ্র বা সংস্থায় সশরীরে হাজির হয়ে পরিস্থিতি যাচাই করার অধিকার রয়েছে কর দফতরের অফিসারদের।

খসড়া বিধিতে নথিভুক্তির জন্য সিবিইসি এনেছে ১৭টি নিয়ম ও ২৬ ধরনের আবেদনপত্র। চালান বা ইন-ভয়েস তৈরির ক্ষেত্রে রয়েছে ৫টি নিয়ম ও একটি আবেদনপত্র। কর মেটানোর জন্য রাখা হয়েছে ৪টি নিয়ম ও ৭টি আবেদনপত্র। ইন-ভয়েসে যে-সব বিষয় উল্লেখ করতে হবে, তার মধ্যে রাখা হয়েছে: পণ্য বা পরিষেবার বিবরণ, সরবরাহ করা পণ্যটি কী শ্রেণির তা বোঝাতে সংশ্লিষ্ট এইচএসএন কোড, পণ্যের সংখ্যা, প্রতিটির দর, ছাড়ের অঙ্ক, মাশুল, করের পরিমাণ, বৈদ্যুতিন আবেদনের রেফারেন্স নম্বর ইত্যাদি।

এ সপ্তাহেই সিবিইসি এই বিধিতে সিলমোহর দিলে জিএসটি সময় মতো চালুর পথে অনেকটাই এগোনো যাবে বলে মনে করছেন কর বিশেষজ্ঞরা। সে ক্ষেত্রে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই কেন্দ্রীয় জিএসটি আইন ও বিভিন্ন রাজ্যের জিএসটি আইন পাশ করানোর লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে বলে তাঁদের আশা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন