কলকাতায় জিএসটি জালিয়াতি

পুরো ঘটনার হাত ধরে ফের সামনে উঠে এল ভুয়ো সংস্থার (শেল) রমরমা। যে সব সংস্থা আদপে কোনও ব্যবসাই করেন না। খোলা হয় শুধুমাত্র কর ফাঁকি বা কালো টাকা লেনদেনের জন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ০১:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

এই প্রথম জিএসটি জালিয়াতি চক্রের খোঁজ মিলল কলকাতায়। গ্রেফতার হলেন দু’জন। আর পুরো ঘটনার হাত ধরে ফের সামনে উঠে এল ভুয়ো সংস্থার (শেল) রমরমা। যে সব সংস্থা আদপে কোনও ব্যবসাই করেন না। খোলা হয় শুধুমাত্র কর ফাঁকি বা কালো টাকা লেনদেনের জন্য।

Advertisement

সম্প্রতি কলকাতার ডিরেক্টরেট জেনারেল অব জিএসটি ইন্টেলিজেন্স (ডিজিজিআই) জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সঞ্জয় ভুয়েলকর ও নিতিন জৈনকে। অভিযোগ, মধ্য কলকাতায় দু’জনের অন্তত ১৫টি ভুয়ো সংস্থা আছে। জিএসটি জমানায় ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের (কাঁচামাল খাতে মেটানো কর ফেরত) সুবিধাকে হাতিয়ার করেই যারা বেআইনি ব্যবসা ফেঁদেছিল। বাস্তবে কোনও কেনাবেচা করত না। শুধু খাতায়-কলমে লেনদেনের হিসেব দেখিয়ে পাকা বিল বানাত। অন্য কিছু সংস্থা সেই বিল কিনে সরকারের ঘরে জমা দিত পণ্য না কিনেই ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের টাকা পাওয়ার জন্য।

সূত্রের দাবি, কলকাতার বাজারে এই জালিয়াতি এখন ‘বিলবেচা’ নামেই ডালপালা ছড়িয়েছে। সেগুলির ক্রেতার তালিকায় বেশ কিছু নাম করা সংস্থাও আছে বলেও অভিযোগ। ওই ১৫টি ভুয়ো সংস্থার জালিয়াতির অঙ্ক এখনও পর্যন্ত ৪০ কোটি টাকা বলে অভিযোগ। তবে আশঙ্কা, তা ছুঁতে পারে ১০০ কোটি। আদালত অভিযুক্তদের ২৮ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন