আগামী মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে জিএসটি-কাঠামো, আশা কেন্দ্রের

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম সোমবার দাবি করেছিলেন, পণ্য-পরিষেবা করের (জিএসটি) হার তিনটির বেশি হলে হারিয়ে যাবে তা চালুর মূল উদ্দেশ্য। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থনীতি বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাসের দাবি, বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই স্থির করা হচ্ছে জিএসটির কাঠামো।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:০৬
Share:

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম সোমবার দাবি করেছিলেন, পণ্য-পরিষেবা করের (জিএসটি) হার তিনটির বেশি হলে হারিয়ে যাবে তা চালুর মূল উদ্দেশ্য। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থনীতি বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাসের দাবি, বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই স্থির করা হচ্ছে জিএসটির কাঠামো। ঠিক হবে রেভিনিউ নিউট্রাল রেট। সব পণ্য ও পরিষেবায় একটিমাত্র হারে কর বসিয়ে যদি এখনকার মতো একই রাজস্ব সংগ্রহ করতে হয়, তা হলে যে হারে জিএসটি বসা উচিত। আগামী মাসে এই হার চূড়ান্ত হবে বলে মনে করছেন তিনি।

Advertisement

এ দিন অ্যাসোচ্যামের সভায় শক্তিকান্তবাবু বলেন, ‘‘জিএসটি পরিষদ থেকে শুরু করে আমজনতার আলোচনা— করের হার নিয়ে বিতর্ক চলছে সর্বত্র। তবে নভেম্বরের গোড়ায় পরিষদের বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। হয়তো দু-এক বার বসতে হবে।’’

সম্প্রতি জিএসটি পরিষদের বৈঠকে বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার উপর করের পাঁচটি (৪, ৬, ১২, ১৮ ও ২৬%) হারের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। আর হারের এত বেশি সংখ্যারই বিরোধিতা করেন চিদম্বরম। শক্তিকান্তবাবুর দাবি, বাস্তবের ভিত্তিতে হার স্থির করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘এমন হার কখনওই স্থির করা যাবে না যাতে সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি হয়। তাই এমন ভাবে তা করা হচ্ছে যাতে বেশির ভাগ পণ্যই ১৮ শতাংশের হারের নিচে থাকে।’’

Advertisement

একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানান, আগামী ১ এপ্রিল থেকেই এই কর চালুর ব্যাপারে বদ্ধপরিকর তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘এ জন্য যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সবই করা হচ্ছে। রাজ্যগুলিও একই ভাবে উদ্যোগী হচ্ছে।’’

বস্তুত, আগামী এপ্রিলে জিএসটি চালু করতে চায় কেন্দ্র। অথচ করের হার ঠিক করা নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। রাজ্যগুলি রাজস্ব হারানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আগেই। জিএসটির হার কত হলে, কেন্দ্র বা রাজ্য— কারওই রাজস্ব আদায় কমবে না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব গত বছর বর্তেছিল মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনের উপর। তাঁর বক্তব্য ছিল, রেভিনিউ নিউট্রাল রেট হওয়া উচিত ১৫-১৫.৫%। তাঁর পরামর্শ, বেশির ভাগ পণ্য ও পরিষেবায় কর চাপুক ১৭-১৮ শতাংশর মধ্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement