বাজি: পর্যটনে তুরুপের তাস পটেলের এই মূর্তি। ফাইল চিত্র
‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত ২০১৯’-এর বিপণনে এ বার হাতিয়ার সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তিও।
মঙ্গলবার কলকাতায় ছিল গুজরাতের শিল্প সম্মেলনটির রোড-শো। সেখানে সে রাজ্যের অন্যতম প্রবীণ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ চুদাসামা দাবি করেন, অতীতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরে যাওয়া ন্যানো প্রকল্পকে চটজলদি জায়গা দেওয়া গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মাস্টার স্ট্রোক’ ছিল। যা রাজ্যটি সম্পর্কে শিল্প মহলের আস্থা বাড়ায়। পেশ করেন, শিল্পের পরিবেশ গড়তে তাঁদের পরিকাঠামো নির্মাণ ও প্রশাসনিক নানা সাফল্যের খতিয়ানও। তবে মোদীর রাজ্যের ‘শিল্পবন্ধু’ মুখ তুলে ধরতে শুধু এই সব তথ্যে ভরসা রাখেননি চুদাসামা। হাতিয়ার করেছেন নর্মদার তীরে ১৮২ মিটার উঁচু সর্দার পটেলের ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ মূর্তিকেও। আর তার মাধ্যমে দিয়েছেন পর্যটনে লগ্নির বার্তা।
তাদের দেশের অনুদানের অর্থ পটেল মূর্তি তৈরিতে খরচের অভিযোগ এনে প্রশ্ন তুলেছিল ব্রিটেন। বিভিন্ন মহলে তুমুল চর্চা চলেছিল ভারতের মতো দরিদ্র দেশে এর পেছনে এত বিপুল খরচ নিয়েও। তবে ভূপেন্দ্রর দাবি, ‘‘কোনও বিবাদ-বিতর্ক নেই। ওই মূর্তি দেখলে মনে হবে সে সবই মিথ্যা।’’ বরং এটিকে ঘিরে লগ্নি টানার সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ গুজরাত। যে কারণে মূর্তি দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য অতিথিশালা গড়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ-সহ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা চিঠি দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী।
এ নিয়ে নবান্নের একাংশের ব্যাখ্যা, এমন চিঠি নজরে আসেনি। তবে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলে বিষয়টি ভিন্ন। চুদাসামার আশা, ‘‘দিদি ইতিবাচক জবাবই দেবেন।’’