Investments

বাংলার শিল্প মহলকে লগ্নির ডাক গুজরাতের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য যে শিল্প সম্মেলনের তোড়জোড় করছে, সেই ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এর প্রচারে রোড-শো করতে বুধবার কলকাতায় এসেছিলেন সেখানকার শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

এ মাসের শেষে রাজ্যে বসতে চলেছে বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলন (বেঙ্গল গ্লোবাল বিজ়নেস সামিট বিজিবিএস)। পুরোদমে চলছে তার প্রস্তুতি। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প মহলকে লগ্নির ডাক দিল গুজরাত।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য যে শিল্প সম্মেলনের তোড়জোড় করছে, সেই ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এর প্রচারে রোড-শো করতে বুধবার কলকাতায় এসেছিলেন সেখানকার শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি। এ রাজ্যের শিল্প সংস্থাগুলির জন্য গুজরাতে ‘রেড কার্পেট’ বিছানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি। দাবি করেছেন, তাঁর ডাকে খুব ভাল সাড়া মিলেছে। এ রাজ্যের বেশির ভাগ সংস্থাই গুজরাতে পুঁজি ঢালতে আগ্রহী হয়েছেন। তবে হর্ষের সভায় এই দিন রাজ্যের শিল্প মহলের প্রথম সারির প্রায় কোন কর্তাকেই দেখা যায়নি।

গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মোদী ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’ শুরু করেছিলেন। শুধু দেশের নয়, গোটা বিশ্বের তাবড় শিল্প এবং বিভিন্ন দেশের শীর্ষ কর্তারা সেই শিল্প সম্মেলনে যোগ দেন। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন তাতে। পাঁচ বছর পরে আগামী জানুয়ারিতে ফের বসবে লগ্নি টানার এই আসর। সেই উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রোড-শো করছে গুজরাত সরকার। এ দিন কলকাতায় বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের গুজরাত এবং পূর্বাঞ্চলীয় শাখা তার প্রচার সভার আয়োজন করে।

Advertisement

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি-র বিরোধ ভোটের আবহে ক্রমশ চড়ছে। বিজেপি শাসিত গুজরাতের মন্ত্রী অবশ্য তার ধারকাছ দিয়ে যাননি। বরং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে গুজরাতের বিভিন্ন সামাজিক রীতির মিল তুলে ধরে লগ্নির বার্তা দিয়েছেন। দাবি করেছেন, শুধু সুখের সময় নয়, দুঃখের সময়েও শিল্পের পাশে থাকেন তাঁরা। তবে রসিকতার ছলে সভায় উপস্থিত শিল্প মহলকে শুনিয়েছেন, ‘‘আপনাদের জন্য লাল কার্পেট তৈরি। সবাইকে নিয়ে যাব, বলতে পারি না। তা হলে (আপনাদের) সমস্যা হয়ে যাবে। তবুও বলছি, আপনারা অবশ্যই গুজরাতের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখুন। শিল্পমন্ত্রী হিসাবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি, লগ্নির প্রতিটি টাকা সুরক্ষিত থাকবে। বিনিয়োগের নিরাপদ জায়গা হল গুজরাত।’’

সভায় অ্যাসোচ্যামের গুজরাত শাখার চেয়ারম্যান চিন্তন ঠাকার, পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রবি আগরওয়ালও ছিলেন। কিন্তু এ রাজ্যের বড় কোনও শিল্প কর্তাকে দেখা যায়নি। যদিও বণিকসভাটির পূর্বাঞ্চলীয় শাখার দাবি, তাদের বিভিন্ন কমিটির কর্তারা ছিলেন সেখানে।

শিল্প সম্মেলনের প্রচারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে বিনিয়োগকারী শিল্প-কর্তাদের দিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার ধারা মেনেই গুজরাতে লগ্নি করা তিন সংস্থার প্রতিনিধিরা সে রাজ্যে শিল্পের সহায়ক পরিবেশ পাওয়ার কথা বলেছেন। চিন্তনের দাবি, সহজে ব্যবসার পরিবেশ থেকে শুরু করে নানা মাপকাঠিতে অনেক উন্নত গুজরাত। ফলে সংস্থা ৯-১৮ মাসে কারখানা গড়তে পারে। সরকারের তরফে নানা পরিকল্পনা তুলে ধরেন গুজরাতের শিল্প দফতরের অতিরিক্ত কমিশনার কুলদীপ আর্য।

বিরোধীরা অবশ্য বহুবার প্রশ্ন তুলেছে, এমন সম্মেলনে পাওয়া প্রস্তাবগুলির খুবই কম বাস্তবায়িত হয়। যা উড়িয়ে হর্ষ বলছেন, ছবিটা উল্টো। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত লগ্নির অধিকাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন