হলদিয়া বন্দরের নাব্যতা সমস্যা মেটাতে নতুন করে উদ্যোগী কর্তৃপক্ষ।
সোমবার কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অছি পরিষদের বৈঠক শেষে বন্দরের চেয়ারম্যান আরপিএস কাঁহালো জানান, নাব্যতা কম থাকা সত্ত্বেও বড় জাহাজ থেকে মাল খালাস বাড়াতে ‘ট্রান্সলোডিং’ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এই পদ্ধতিতে বড় জাহাজ থেকে পণ্য ছোট জাহাজে নামিয়ে বন্দরে আনা যায়। তিন মাসের মধ্যেই কণিকা স্যান্ডস থেকে হলদিয়া বন্দরে ট্রান্সলোডিং শুরু হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে ইডেন চ্যানেল দিয়ে হলদিয়া বন্দরে জাহাজ চলাচলও আরম্ভ হবে। এই চ্যানেলের গভীরতা বেশি হওয়ায় পণ্য বেশি আসবে এবং বছরে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা ড্রেজিংয়ের খরচ বেঁচে যাবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। বর্তমানে ব্যবহৃত অকল্যান্ড চ্যানেলও চালু থাকবে। কাঁহালো বলেন, ‘‘হলদিয়া বন্দরে ট্রান্সলোডিং নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ‘জিন্দল আইটিএফ’-এর সঙ্গে চুক্তি করা হবে।’’
হলদিয়া বন্দরে ২ ও ৮ নম্বর বার্থে জাহাজ থেকে মোবাইল হার্বার ক্রেনের সাহায্যে পণ্য নামানোর টেন্ডারও ইতিমধ্যে ডাকা হয়েছে। দু’টি সংস্থা কাজের বরাতও পেয়েছে।