বার্তা: নিউ ইয়র্কে জেটলি।
নোট বাতিল ঘোষণার আগে বিষয়টি যে ভাবে গোপন রাখা হয়, তা এক্কেবারে ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি মার্কিন সফরে এসে মোদী সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তের পক্ষে এই ভাবেই সওয়াল করে বলেন, এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার পথে হাঁটলে সেটাই ‘জালিয়াতির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার’ হয়ে দাঁড়াত।
আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আই এম এফ) ও বিশ্বব্যাঙ্কের বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসে জেটলির আরও দাবি, ‘‘নোট নাকচ ও জিএসটি চালুর মতো সংস্কার অর্থনীতিকে অনেক বেশি পোক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাবে।’’ কাঠামো ঢেলে সাজার ফলে ভবিষ্যতে আরও অনেক স্বচ্ছ ও বড় মাপের অর্থনীতি তৈরি সম্ভব হবে বলেও মত তাঁর।
প্রসঙ্গত, নোট নাকচের জেরেই শিল্পোৎপাদন, বৃদ্ধি ধাক্কা খাচ্ছে, এমন অভিযোগ এনেছেন বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সেই পরিপ্রেক্ষিতেই জেটলির এই সওয়াল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোট বতিলের সিদ্ধান্ত কেন আগে থেকে জানাননি? িনউ ইয়র্কে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সামনেও তাঁদের এই প্রশ্নের জবাবে জেটলির পাল্টা যুক্তি ছিল, নোট বাতিলের কথা আগেভাগে জানাজানি হলে কী ভাবে এক শ্রেণির মানুষ হতে থাকা নগদ দিয়ে সোনা, হিরে, জমির মতো সম্পদ কিনে নিতেন। ফলে কালো টাকা বা জাল নোট নিয়ন্ত্রণে আনার মতো উদ্দেশ্য সফল হত না। জেটলির কথায়, ‘‘স্বচ্ছতা একটি সুন্দর শব্দ। কিন্তু নোটবন্দির ক্ষেত্রে সেটা হয়ে উঠত জালিয়াতির সব থেকে বড় হাতিয়ার।’’
অর্থনীতিকে নিয়মে বাঁধতেই কেন্দ্র ধাপে ধাপে সংস্কারের পথে হাঁটছে বলে জানান জেটলি। জিএসটি এই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।