ঘাটতি লাগামহীন, হুঁশিয়ারি মূল্যায়নে

সহজে ব্যবসা করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির নিরিখে এক লাফে অনেকখানি উঠে আসা। আর প্রায় এক যুগ পরে রেটিংয়ের উন্নতি। গত কয়েক মাস মূলত এই দুই প্রাপ্তি নিয়েই বুক বাজিয়ে গর্ব করে গিয়েছে মোদী সরকার। সে কথা তুলে ধরেছে বাজেটেও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৬
Share:

সহজে ব্যবসা করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির নিরিখে এক লাফে অনেকখানি উঠে আসা। আর প্রায় এক যুগ পরে রেটিংয়ের উন্নতি। গত কয়েক মাস মূলত এই দুই প্রাপ্তি নিয়েই বুক বাজিয়ে গর্ব করে গিয়েছে মোদী সরকার। সে কথা তুলে ধরেছে বাজেটেও। কিন্তু এখন রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখতে ব্যর্থ হওয়ার পরে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করেছে সেই রেটিং (মূল্যায়ন) সংস্থাগুলিই।

Advertisement

মার্কিন মূল্যায়ন বহুজাতিক ফিচ জানিয়েছে, ভোটের দিকে তাকিয়ে সরকার বিভিন্ন জনমোহিনী প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দের কথা বলেছে। কিন্তু এ দেশের সরকারি ঋণ তার জিডিপির প্রায় ৬৮%। তার উপরে কেন্দ্র যে ভাবে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়েছে এবং পরের আর্থিক বছরেও তার গান গেয়ে রেখেছে, তা রেটিংয়ে উন্নতির পক্ষে ভাল নয়।

এই অর্থবর্ষে ঘাটতিকে ৩.২ শতাংশে বেঁধে রাখবেন বলে কথা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু বাজেটে তিনি জানান, তা বেড়ে হচ্ছে ৩.৫%। আগামী অর্থবর্ষে ঘাটতিকে ৩ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা ছিল। তা-ও ৩.৩% হবে বলে জানিয়ে রেখেছেন। আর ঘাটতি বাড়া মানেই যেহেতু বাড়তি ধার, তাই গোড়াতেই সতর্ক করছে রেটিং সংস্থাগুলি। নভেম্বরে ভারতের রেটিং এক ধাপ বাড়িয়েছিল মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ। কিন্তু তাদের শাখা ইকরা এ দিন আবার বলেছে, রাজস্ব ঘাটতি যে ভাবে বেড়েছে, তা-ও চিন্তার কারণ। একই ভাবে ঘাটতি বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তার কথা জানিয়েছে ক্রিসিল। যাদের মূল সংস্থা এসঅ্যান্ডপি-র কাছে অনেক দিন ধরে রেটিং বৃদ্ধি নিয়ে সওয়াল করছে কেন্দ্র। আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষ গর্গের অবশ্য আশা, মূল্যায়ন সংস্থাগুলির কাছে নিজেদের যুক্তি ও অবস্থান স্পষ্ট করবেন তাঁরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন