ধনকুবেরের আগ্রহেই বাড়ল শেয়ার দর

জেটে পুঁজি ঢালার ভাবনা হিন্দুজাদের

একটি ভারতীয় সংবাদপত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর, পুঁজির অভাবে গোঁত্তা খেয়ে পড়া জেটে বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে মুম্বই ভিত্তিক ওই বহুজাতিক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৯ ০২:০০
Share:

উত্তাল: হাতে প্ল্যাকার্ড। মুখে স্লোগান। মঙ্গলবার দিল্লিতে বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সামনে বিক্ষোভ জেট কর্মীদের। পিটিআই

আপাতত বন্ধ জেট এয়ারওয়েজে লগ্নিতে আগ্রহীর তালিকায় এ বার উঠে এল হিন্দুজা গোষ্ঠীর নামও।

Advertisement

একটি ভারতীয় সংবাদপত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর, পুঁজির অভাবে গোঁত্তা খেয়ে পড়া জেটে বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে মুম্বই ভিত্তিক ওই বহুজাতিক।

হিন্দুজা গোষ্ঠীর রাশ এখন দুই ভাই শ্রীচাঁদ এবং গোপীচাঁদ হিন্দুজার হাতে। যে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ধনকুবেরের নাম প্রতি বছর নিয়ম করে ঠাঁই পায় ব্রিটেনের সেরা ধনীদের তালিকায়। শুধু তা-ই নয়। হিন্দুজা গোষ্ঠীর ব্যবসাও ছড়ানো গাড়ি, ব্যাঙ্কিং, গ্যাস, তেল, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন ব্যবসায়। এ হেন হিন্দুজা গোষ্ঠীর আগ্রহ দেখানোর খবরে তাই স্বাভাবিক ভাবেই আশার আলো দেখতে পেয়েছে শেয়ার বাজার। এক দিনে জেটের শেয়ার দর বেড়েছে ১৫%।

Advertisement

একে জেটের ঘাড়ে চেপে রয়েছে ৮,০০০ কোটি টাকার দেনা। তার উপরে সংস্থাকে ফের পুরোদস্তুর চালু করতে প্রয়োজন পড়বে বেশ মোটা অঙ্কের লগ্নির। এই পরিস্থিতিতে কোনও সংস্থার হিসেবের খাতা পোক্ত না হলে, তার পক্ষে জেটকে চাঙ্গা করা শক্ত বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সেই দিক থেকে হিন্দুজা গোষ্ঠীর পক্ষে ওই বিপুল অঙ্ক ঢালা সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে খোদ সংস্থা প্রকাশ্যে এ কথা ঘোষণা না করা পর্যন্ত তা নিয়ে তেমন নিশ্চিন্ত হতে পারছে না সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, এর আগে টাটা, আদানি থেকে শুরু করে মার্কিন বিমান পরিষেবা সংস্থা ডেল্টা— বহু সংস্থার নামই বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে লগ্নিতে আগ্রহী হিসেবে। কিন্তু একমাত্র এতিহাদ ছাড়া প্রকাশ্যে তা কেউ এখনও জানায়নি। দরপত্র জমার শেষ দিন (১০ মে) পেরনোর পরেও আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।

মঙ্গলবারই আবার দিল্লিতে বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সামনে বিক্ষোভ দেখান জেট এয়ারের কর্মীদের একাংশ। মিছিল করে ওই সরকারি দফতরের দিকে এগোতে গেলে তাঁদের আটকায় পুলিশ এবং সিআরপি। ঘি পড়ে ক্ষোভের আগুনে। পরে অবশ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব এস কে মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেন তিন প্রতিনিধি।

কর্মীদের অভিযোগ মূলত তিনটি। চার-পাঁচ মাস ধরে বেতন না পাওয়া। একের পর এক উচ্চপদস্থ কর্তা সংস্থা ছাড়ায় পরিচালনায় শূন্যতা তৈরি হওয়া। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নতুন লগ্নিকারীর খোঁজ না হওয়া। চাকরি বাঁচাতে মঙ্গলবার সরকারি হস্তক্ষেপও চান কর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন