গত বছর থেকে বদলেছে আয়কর জমার নিয়ম। এখন আয় ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলে অথবা কর ফেরতের (রিফান্ড) ব্যাপার থাকলে এবং আইটিআর-৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭-এর ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক। তবে কারও বয়স যদি ৮০ বছরের বেশি হয় এবং তিনি আইটিআর-১ অথবা ২ ফাইল করেন, তাঁর ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
আবার আয় ৫ লক্ষ টাকা বা তার নীচে হলে এবং রিফান্ডের ব্যাপার না-থাকলে, ই-ফাইলিং বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু রিফান্ডের বিষয়টি থাকলে, আয় যা-ই হোক, ই-ফাইলিং করতে হবে। এর পরই আসবে রিটার্ন ভেরিফিকেশনের প্রসঙ্গ।
ই-ভেরিফিকেশন
এত দিন রিটার্ন জমার পরে যে কাগজ পেতেন, তা সই করে বেঙ্গালুরুতে আয়কর দফতরের কেন্দ্রীয় প্রসেসিং সেলে (সিপিসি) পাঠাতে হত। যাতে আপনার রিটার্নের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখতে পারে তারা। কিন্তু এখন ই-ফাইলিংয়ের পরে সেই কাগজ ভেরিফিকেশনের জন্য অনলাইনেই পাঠানো যাবে।
মোবাইলে আসা ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ (ওটিপি) ব্যবহার করে তা করতে চাইলে থাকতে হবে আধার কার্ড। না-থাকলেও তা করা যাবে ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট, এটিএম কিংবা ই-মেল ব্যবহার করে। আয় পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে এবং টাকা ফেরতের (রিফান্ড) ব্যাপার না-থাকলে, ভেরিফিকেশন ই-মেল এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই করা যায়। তবে কর জমা বা রিটার্ন নিয়ে দফতরের প্রশ্ন থাকলে, তারা ভেরিফিকেশনের অনুমতি না-ও দিতে পারে।
কী ভাবে? আসুন দেখি।