ভাল-মন্দের চিন্তা
কেন্দ্র জিএসটি বিল পাশ করাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু বিজেপির অন্দরে অনেকেরই চিন্তা, অন্যান্য দেশে জিএসটি চালু করে শাসক দলের কী গতি হয়েছে। ২৫ বছর আগে কানাডায় জিএসটি চালু হয়। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তখন ক্ষমতায় প্রোগ্রেসিভ কনজারভেটিভ পার্টি। দু’বছর পরের ভোটে তাদের আসন নামে দুইয়ে। আর ২০০৪ সালে দলটা উঠেই যায়। রাজ্যসভায় বুধবার ঘটনাটি মনে করান সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি। তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ব্রিটেন, ব্রাজিল, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও শাসক দল জিএসটি চালু করে ভোটে হেরেছিল। তবে তাঁর বক্তব্য, রাশিয়া, নিউজিল্যান্ড, আর্জেন্তিনা, ইন্দোনেশিয়ায় জিএসটি এনেও শাসক দল ক্ষমতায় ফিরেছে।
ছোট শিল্পে লাভ
জিএসটি চালু হলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থার। বুধবার বণিকসভা ফিকির এক সভায় এ কথা বলেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর দাবি, এর হাত ধরে করের হার কমলে সস্তা হবে অনেক জিনিসপত্র। কিছুটা অন্তত সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ।
কৌশলের খোঁজ
ব্যবসায় জিএসটির প্রভাব বুঝে কৌশল ঠিক করতে উপদেষ্টা সংস্থা পিডব্লিউসি-র পরামর্শ নেবে ইমামি। বুধবার সংস্থার ডিরেক্টর আদিত্য অগ্রবাল জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।