হাওড়া শিল্পতালুকের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই

শিল্পতালুক ও তাকে ঘিরে উপনগরীর উন্নয়নের দায়িত্ব পৃথক প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের হাতে থাকলে কাজকর্মের সুবিধা হয়। যেমন সেক্টর ফাইভের নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ। অনেক টালবাহানার পরে একই ভাবে বানতলার শিল্পতালুকের জন্যও তা তৈরি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:০৯
Share:

প্রশাসনিক বৈঠকে হাওড়ার একাংশে প্রস্তাবিত শিল্পতালুক ও উপনগরীর (ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ) উন্নয়নের জন্য পৃথক প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ তৈরির আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার মাস তিনেকের মধ্যেই তা কার্যকর করার ব্যাপারে আশাবাদী রাজ্য সরকার।

Advertisement

শিল্পতালুক ও তাকে ঘিরে উপনগরীর উন্নয়নের দায়িত্ব পৃথক প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের হাতে থাকলে কাজকর্মের সুবিধা হয়। যেমন সেক্টর ফাইভের নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ। অনেক টালবাহানার পরে একই ভাবে বানতলার শিল্পতালুকের জন্যও তা তৈরি হয়। সম্প্রতি হাওড়ায় বিভিন্ন শিল্পের পক্ষ থেকে পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানানো হলে মুখ্যমন্ত্রী সেখানেও ওই কর্তৃপক্ষ তৈরির জন্য রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শিল্পসচিব রাজীব সিন্‌হাকে নির্দেশ দেন। শুক্রবার মার্চেন্টস চেম্বারের এক সভায় রাজীববাবু বলেন, ‘‘সেই কাজ চলছে। মাস তিনেকের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে বলে আশা করছি।’’

তিনি জানান, আমতা, জগৎবল্লভপুর, জগদীশপুর-সহ হাওড়ার একাংশে ইতিমধ্যেই রবার পার্ক, প্লাস্টিক পার্ক তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। তার সঙ্গে নতুন কিছু এলাকাকেও ওই শিল্প-উপনগরীর জন্য চিহ্নিত করার কাজ চলছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ এলাকা নিয়ে গড়া শিল্পতালুক ও উপনগরীর পরিকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্বে থাকবে ওই প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস-এর অনুসারী শিল্প, ফাউন্ড্রি শিল্পকে ভিত্তি করে গাড়ির যন্ত্রাংশের সহযোগী শিল্প, বস্ত্র, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মতো শিল্পও সেখানে গড়ে উঠতে পারে। তাঁর দাবি, প্রস্তাবিত পার্কগুলি বাদে ওই এলাকায় আগামী দিনে আরও অন্তত ৪৬ হাজার কোটি টাকার নতুন লগ্নির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্য পরিকাঠামো গড়তে খরচ করবে প্রায় দু’ হাজার কোটি টাকা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement