অন্যান্য গাড়ির মতো আগামী কাল থেকে আর বিক্রি করা যাবে না ‘ভারত স্টেজ-৩’ (বিএস৩) দূষণ বিধি মেনে তৈরি করা মোটরসাইকেল বা স্কুটারও। দোকানে মজুত সেই পুরনো গাড়ি় বিক্রি করতে তাই কম-বেশি প্রায় ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছে অধিকাংশ দু’চাকার গাড়ি সংস্থা। ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্সের প্রাক্তন কর্তা নিকুঞ্জ সাংহি বলেন, ‘‘দু’চাকার গাড়িতে এমন ছাড় আগে কখনও শোনা যায়নি।’’
১ এপ্রিল থেকে দেশে সব গাড়ি সংস্থাকে শুধু বিএস-৪ মাপকাঠি মেনেই গাড়ি তৈরি করতে হবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, মজুত থাকা বিএস-৩ গাড়িগুলিও ১ এপ্রিলের পরে আর বিক্রি করা যাবে না।
বিভিন্ন ডিলার সূত্রের খবর, এরপরই বাড়তি ছাড় দিয়ে বেশ কিছু মডেলের বিএস-৩ গাড়ি বিক্রি করতে উদ্যোগী হয় হিরোমোটোকর্প, হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার (এইচএমএসআই), বজাজ অটো, সুজুকি মোটরসাইকেল-এর মতো সংস্থা। ছাড় মিলবে আজ সারাদিন, কিংবা যতক্ষণ পুরনো গাড়ি মজুদ থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত।
হিরো তাদের স্কুটারে প্রায় ১২,৫০০ টাকা ছাড় দিচ্ছে। মোটরসাইকেলে তা ৫,০০০-৭,৫০০ টাকা। এইচএমএসআই গোড়ায় এককালীন ১০ হাজার টাকা ছাড় দিলেও পরে তা বাড়িয়ে করে ২২ হাজার টাকা। সুজুকি মোটরসাইকেল ছাড়ের সঙ্গে বিনামূল্যে হেলমেটও দিচ্ছে। যদিও হিরো ও এইচএমএসআই-এর তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বিভিন্ন মডেলে ৩০০০-১২০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে বজাজ অটো। সঙ্গে নিখরচায় বিমার সুযোগ। সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘তারপরও পুরনো গাড়ি থাকলে তা রফতানি করব।’’
বাণিজ্যিক গাড়ি সংস্থা অশোক লেল্যান্ডের দাবি তাদের চাহিদা বেশি। তাই তারা কোনও ছাড় দিচ্ছে না।