দেশের গাড়ি বাজার কিছুটা ঝিমিয়ে। গত ন’মাসের মধ্যে জুনে প্রথম কমেছে যাত্রী গাড়ির বিক্রি। এই অবস্থায় ক্রেতাদের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে নতুন গাড়িই হাতিয়ার হোন্ডা এবং হুন্ডাই-এর। প্রায় দেড় লক্ষ টাকা দাম কমিয়ে নতুন করে তাদের জ্যাজ গাড়িটি ভারতের বাজারে এনেছে হোন্ডা কারস ইন্ডিয়া। আর ‘ক্রেটা’-র মাধ্যমে ‘এসইউভি’ গাড়ির বাজারে পা রাখল হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া।
২০০৯ সালে ভারতের ছোট এবং দামি গাড়ির বাজারে জ্যাজ-কে আনলেও বাজার পায়নি জাপানি সংস্থাটি। গাড়িটির দাম ছিল সাত লক্ষ টাকার আশেপাশে। সেই দামে ছোট গাড়ি কেনার মতো বাজার তখনও সে ভাবে গড়ে ওঠেনি বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। দ্বিতীয় প্রজন্মের সেই জ্যাজ গাড়িটি বছর দুয়েক আগে এ দেশে বিক্রি বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি।
এ বার তাদের নতুন গাড়িটির দাম শুরু হচ্ছে ৫.৪৬ লক্ষ টাকা থেকে (কলকাতায়)। সংস্থাটির কর্তাদের দাবি, তৃতীয় প্রজন্মের এই গাড়িটির যন্ত্রাংশের প্রায় ৯০ শতাংশই এখন এ দেশে তৈরি হওয়ার (লোকালাইজেশন) জন্যই দাম কমানো সম্ভব হয়েছে। আগে তা ছিল ৭২ শতাংশ। পেট্রোলের পাশাপাশি এ বার ডিজেলচালিত জ্যাজ-ও মিলবে। পেট্রোলচালিত গাড়িতে স্বয়ংক্রিয় গিয়ার বদলের প্রযুক্তিও মিলবে। উল্লেখ্য, নতুন জ্যাজ গাড়িটির সম্ভাব্য প্রতিযোগী হবে ফোক্সভাগেনের পোলো, হুন্ডাই-এর এলিট আই২০ কিংবা সুইফট-এর মতো গাড়িগুলি।
জাপানি সংস্থাটি যখন নতুন জ্যাজ এনে বাজার ধরতে উদ্যোগী, কোরিয়ার হুন্ডাই মোটরের বাজি নতুন ক্রেটা। গত কয়েক বছরে ভারতে এসইউভি-গাড়ির চাহিদা বাড়লেও হুন্ডাই-এর ভাঁড়ারে সেই ধরনের গাড়ি ছিল না। অবশেষে ক্রেটা তাদের সেই বাজার ধরতে সাহায্য করবে বলেই মত গাড়ি বিশেষজ্ঞদের।
পেট্রোল এবং ডিজেল দুই ধরনের ইঞ্জিনই মিলবে এই গাড়িটির ক্ষেত্রে। ডিজেল গাড়ির ক্ষেত্রে মিলবে স্বয়ংক্রিয় ‘ট্রান্সমিশন’ ব্যবস্থার সুযোগও। গাড়ি শিল্পের মতে, মহিন্দ্রার স্করপিও, রেনো-র ডাস্টার বা ফোর্ডের ইকোস্পোর্ট গাড়িগুলির সঙ্গে টক্কর নিতে হবে ক্রেটা-কে।
গাড়ির বাজারে এখন স্বয়ংক্রিয় গিয়ার ব্যবস্থার চল ধীরে ধীরে বাড়ছে ভারতে। সেই তালে তাল মিলিয়ে তাদের বড় যাত্রি-গাড়ি ‘এমইউ-৭’ –এও সেই ব্যবস্থা এনেছে সংস্থাটি। ২০১৩ সালে প্রথম এই গাড়িটি বাজারে এনেছিল তারা। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাড়িটিতে স্বয়ংক্রিয় গিয়ার ব্যবস্থার দাবি উঠেছিল ক্রেতাদের মধ্যে থেকে। সেই সুত্রেই গাড়িটির এই নতুন সংস্করণ বাজারে এল।