ব্র্যাডি হাউস শাখার ৮ অডিটরকে তলব

মুম্বইয়ে পিএনবির ব্র্যাডি হাউস শাখার বিধিসম্মত অডিটরদের নোটিস পাঠিয়ে তলব করল দ্য ইনস্টিটিউট চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া (আইসিএআই)। তাঁদের আইসিএআইয়ের শৃঙ্খলারক্ষা পর্ষদের সামনে হাজিরা দিতে হবে। নীরব মোদী-মেহুল চোক্সীর ১৩ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতির কেন্দ্রে রয়েছে এই শাখাই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও মুম্বই শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:২৯
Share:

মুম্বইয়ে পিএনবির ব্র্যাডি হাউস শাখার বিধিসম্মত অডিটরদের নোটিস পাঠিয়ে তলব করল দ্য ইনস্টিটিউট চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া (আইসিএআই)। তাঁদের আইসিএআইয়ের শৃঙ্খলারক্ষা পর্ষদের সামনে হাজিরা দিতে হবে। নীরব মোদী-মেহুল চোক্সীর ১৩ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতির কেন্দ্রে রয়েছে এই শাখাই।

Advertisement

২০১১-১২ থেকে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত বিধিসম্মত অডিটরদের তালিকা তৈরি করেছে আইসিএআই। প্রতিষ্ঠানের সদস্য এস বি জাওয়্যার বলেন, ‘‘১৯৪৯ সালের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আইনে ৮ জনকে চিহ্নিত করে তলব করা হয়েছে। পর্ষদের সামনে তাঁদের কৈফিয়ত দিতে হবে।’’

জালিয়াতি ৩ কোটি ছাড়ালেই তথ্য: রোগ সারানোর চেয়ে ভাল প্রতিকারের ব্যবস্থা। এই লক্ষ্যেই জালিয়াতি ঠেকাতে ব্যাঙ্কের কাজকর্মে আরও কড়া নজর রাখার পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি)। কোনও প্রতারণা ৩ কোটি টাকার বেশি হলেই তা নিয়ে বিশদ তথ্য জানাতে হবে এই সংক্রান্ত নজরদারি সংস্থাটিকে। সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার কে ভি চৌধুরি বলেন, ‘‘এ ধরনের তথ্য মূলত থাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে। যদি জানতে পারি, কী ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, তা হলে তার কারণও খোঁজা সহজ হবে।’’ কমিশনারের মতে, প্রায় ১০০টি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। সেগুলি সবই একই ধাঁচের কি না, সেটা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে সিভিসি। প্রতারণা ঠেকাতে সিভিসি কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভেবেছে, যার মধ্যে রয়েছে: গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যাঙ্ক কর্তাদের বেশি দিন এক দায়িত্বে না রেখে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বদলি করা, ব্যাঙ্কের সব কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা, অডিট ব্যবস্থা জোরদার করা।

Advertisement

অনুৎপাদক সম্পদ আরও ৮ হাজার কোটি: সদ্য শেষ হওয়া ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) ব্যাঙ্কিং শিল্পে অনুৎপাদক সম্পদ বাড়তে চলেছে আরও অন্তত ৮ হাজার কোটি টাকা। মেহুল চোক্সীর গীতাঞ্জলি জেমসকে দেওয়া ধারই অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। কার্যকরী মূলধন খাতে নেওয়া ঋণের টাকা ওই সময়ে আদৌ মেটায়নি সংস্থা।

কড়াকড়ি

• গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যাঙ্ক কর্তাদের বেশি দিন একই দায়িত্বে না রেখে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বদলি করা

• এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি না করা গেলেও অন্তত একই এলাকায় ভিন্ন শাখায় পাঠানো

• প্রয়োজনে একই শাখায় আলাদা পদে বসানো

• ব্যাঙ্কের সব কাজ নির্দিষ্ট সময় মেনে শেষ করা

• অডিট ব্যবস্থা জোরদার করা

ভিডিয়োকনকে ঋণে হদিশ মেলেনি অনিয়মের: ভিডিয়োকন গোষ্ঠীকে দেওয়া আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ঋণে দু’বছর আগে কোনও অনিয়মের হদিস পায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সে সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখে। তবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের নথি অনুযায়ী বেআইনি ভাবে চন্দা কোছরের স্বামীকে ভিডিয়োকন কর্তা বেণুগোপাল ধুতের তরফে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার হদিস মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন