ভারত যে বিশ্ব অর্থনীতির ‘উজ্জ্বল বিন্দু’ তা আগেই জানিয়েছিল বিশ্বব্যাঙ্ক ও আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ)। এ বার এক ধাপ এগিয়ে আইএমএফ জানাল, পরবর্তী কয়েক দশক বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে কার্যত ইঞ্জিনের ভূমিকা পালন করবে ভারত। যে ভূমিকায় দীর্ঘ দিন দেখা গিয়েছে চিনকে। তবে এ জন্য জিএসটি, দেউলিয়া বিধির মতো আরও একাধিক কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন।
তাদের ভারতীয় মিশনের প্রধান রনিল সালগাডো জানান, পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি (ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে দুই মুদ্রার বিনিময়মূল্য) সূচক অনুযায়ী বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে ভারতের অবদান বিপুল, প্রায় ১৫%। এ দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমতে অন্তত তিন দশক দেরি। এই দীর্ঘ সময়কে কাজে লাগাতে হবে। লগ্নি ও চাহিদার কাঁধে ভর করে চলতি ও ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৭.৩% ও ৭.৫% হবে বলেও জানিয়েছে আইএমএফ। তাদের দাবি, নোটবন্দি ও জিএসটির প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওঠা গিয়েছে।
তিনটি সংস্কারমূলক পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও দীর্ঘ মেয়াদে সেগুলিতে আরও জোর দেওয়ার সুপারিশ করেছে অর্থ ভাণ্ডার। যাতে আছে— জিএসটিতে করের হারের সংখ্যা কমানো, দেউলিয়া বিধির সাহায্যে ঋণ উদ্ধারের প্রক্রিয়া এগোনো এবং মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের কড়া ঋণনীতি। অর্থাৎ, মূল্যবৃদ্ধির মাথাচাড়া দেওয়া রুখতে প্রয়োজনে সুদ বাড়ানোর পক্ষপাতী তারা।
আশা
পরামর্শ
সালগাডোর কথায়, ‘‘কর্মসংস্থান ও বৃদ্ধির হার বাড়াতে সঠিক নীতি জরুরি। ৭-৮% বৃদ্ধি সন্তোষজনক। কিন্তু ভারত যেহেতু প্রথম সারির আর্থিক শক্তি হতে চায়, তাই তা বাড়াতে হবে। টানা অনেক বছর চিনের বৃদ্ধি কিন্তু দু’অঙ্কে ছিল।’’
এরই মধ্যে বুধবার লোকসভায় কেন্দ্র জানিয়েছে, গত চার বছরে দেশে মাথা পিছু বার্ষিক গড় আয় ৭৯,৮৮২ টাকা ছুঁয়েছে। তার আগের চার বছরে ওই গড় ছিল ৬৭,৫৯৪ টাকা।
মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি - অর্থনীতির সব খবর বাংলায় পেয়ে যান আমাদের ব্যবসা বিভাগে।