পাহাড়ে অশান্তির জেরে জুন থেকে বাগান বন্ধ থাকায় কলকাতার নিলাম কেন্দ্রে ক্রমশ কমে আসছিল বরাদ্দ দার্জিলিং চায়ের পরিমাণ। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় ছিল না দার্জিলিং চা। অক্টোবর শেষের দু’টি নিলামেও সেখানে থাকছে না দার্জিলিং চা।
ক্যালকাটা টি ট্রেডার্স অ্যাসো-সিয়েশন (সিটিটিএ) জানাচ্ছে নিলাম কেন্দ্রে অগস্ট পর্যন্ত অল্প দার্জিলিং চা এলেও ৫ সেপ্টেম্বরের নিলামে (৩৬ নম্বর) ওঠেনি কিছুই। সিটিটিএ সেক্রেটারি কল্যাণ সুন্দরম জানান, তাঁর তিন দশকের কর্মজীবনে এমন ঘটেনি। অক্টোবরের গোড়ায় ৪০ নম্বর নিলামে উঠবে ২৪০ কেজি চা। তারপর ৪১ ও ৪২ নম্বর নিলামে ফের বাদ পড়বে দার্জিলিং চা।
এ বার নামমাত্র চা নিলামে এসেছে। গত বছর ৪০ নম্বর নিলামে ওঠে ১.২৩ লক্ষ কেজি। এ বার উঠবে মাত্র ২৪০ কেজি। শিল্পমহলের অভিযোগ, খুচরো বাজারে বিক্রি হওয়া ‘দার্জিলিং চা’য়ে অনেক সময়েই মিশছে অন্য জায়গার চা।
সিটিটিএ অবশ্য জানিয়েছে, নিলামে এ বার অনেক ক্ষেত্রে দাম গত বছরের চেয়ে বেশ কিছুটা উঠেছিল। তবে সিটিটিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান অংশুমান কানোরিয়ার দাবি, দেশ-বিদেশের বাজারে দার্জিলিং ব্র্যান্ডের অস্তিত্ব ধরে রাখতে অনেক ক্রেতা বা সংস্থাই এ বার নিলামে প্রায় দ্বিগুণ দাম দিয়েও চা কিনেছেন। যদিও বিক্রি হওয়া চা এতই কম যে, তাতে আখেরে বাগানগুলির কোনও লাভ হয়নি বলেই তাঁর দাবি।