আরসিইপি নিয়ে পাল্টা কংগ্রেসের

দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অর্থনীতি এবং বেকারত্ব নিয়ে টুইটে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও। কেন্দ্র আরসিইপি থেকে আপাতত সরার পরে কংগ্রেসের দাবি ছিল, রাহুল গাঁধী ও তাঁর দলের চাপেই এই সাফল্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৪
Share:

ফাইল চিত্র।

ষোলো দেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (আরসিইপি) ভারতের যোগ দেওয়া আটকানোর কৃতিত্ব কংগ্রেস দাবি করায় কটাক্ষ করেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। বৃহস্পতিবার পাল্টা টুইটে ফের অর্থনীতির বেহাল দশা মনে করালেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অর্থনীতি এবং বেকারত্ব নিয়ে টুইটে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও।

Advertisement

কেন্দ্র আরসিইপি থেকে আপাতত সরার পরে কংগ্রেসের দাবি ছিল, রাহুল গাঁধী ও তাঁর দলের চাপেই এই সাফল্য। তাতে পীযূষ প্রশ্ন তোলেন, যে কংগ্রেস বড় গলায় আরসিইপি রোখার কৃতিত্ব দাবি করছে, ২০১২ সালে এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা তো শুরু করেছিল সেই দলের সরকারই!

পাল্টা দিতে এ দিন জেলবন্দি চিদম্বরমের দাবি, ‘‘২০১২ সালে কথা শুরু ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। ২০১৯ সালে তাতে শামিল হতে বাধা দেওয়াও ঠিক।’’ যুক্তি, দুই বছরের মধ্যে মূল ফারাক অর্থনীতির বেহাল দশা। অর্থাৎ, অর্থনীতির অবস্থা সঙ্গিন হওয়াতেই কংগ্রেস চুক্তির বিরোধিতা করেছে। তবে হিসাব বলছে, অর্থনীতি সুবিধার ছিল না ২০১২ নাগাদও। ২০১১-১২ সালে বৃদ্ধি (সংশোধিত) ছিল ৬.৭%। কিন্তু ২০১২-১৩ সালে নামে ৪.৫ শতাংশে। লাল ফিতের ফাঁস, নীতিপঙ্গুত্ব, কর-সন্ত্রাসের ভয়ে লগ্নিতেও ছিল খরা। প্রিয়ঙ্কার আক্রমণ, ‘‘অর্থনীতি বেহাল। (শিল্পোৎপাদনের পরে) পরিষেবা সূচকও নিম্নমুখী। কাজের সুযোগ কমছে। শাসক নিজেকে নিয়েই মগ্ন। মানুষ শঙ্কিত।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন